চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রশাসন ক্যাডার কামাল হোসেন
বীর মুক্তিযোদ্ধা আপন চাচাকে বাবা বানিয়ে পড়াশোনাসহ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নেওয়ার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মো. কামাল হোসেন সিরাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি এবং ফিলিপনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়নকালে পিতার নাম হিসেবে প্রকৃত জন্মদাতা পিতা মো. আবুল কাশেমের নাম ব্যবহার করেন। তবে পরে একই স্কুলে নবম শ্রেণিতে আপন চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব এবং চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে পিতা-মাতা সাজিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন এবং এসএসসি, এইচএসসিসহ বিভিন্ন উচ্চতর ডিগ্রি পরীক্ষায় চাচা-চাচির নামই পিতা-মাতার নাম হিসেবে ব্যবহার করেন। এ ছাড়াও মো. কামাল হোসেন তার জন্মসনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রকৃত পিতা-মাতার পরিবর্তে চাচা-চাচির নামই ব্যবহার করেন। অর্থাৎ মো. কামাল হোসেনের জন্মসনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদে পিতা-মাতার নামের স্থলে চাচা-চাচির নামই উল্লেখ রয়েছে।
কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং চাকরি লাভসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগের উদ্দেশ্যে তিনি আপন চাচা-চাচিকে পিতা-মাতা সাজিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে চরম প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি গ্রহণ করেন। যা দুদক আইনে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় অপরাধ। মামলা তদন্তকালে মো. কামাল হোসেনের ডিএনএ টেস্টের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে দুদক।
মো. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃকও পৃথকভাবে তদন্ত করে এ বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে জানানো হয়েছে মামলার এজাহারে।