গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালে পৌঁছে নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন তিনি। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসার বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন।
গত ২৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নুরুল হক নুর ও তার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।
গুরুতর আহত অবস্থায় নুরকে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাতেই তাকে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের পুরোনো ভবনের ভিআইপি কেবিনে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালে গিয়ে নুরকে সান্ত্বনা দিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘চিন্তা করো না, আমরা তোমার পাশে আছি।’ নুর কথা বলতে না পারলেও ইশারায় কষ্ট করে দোয়া করার অনুরোধ জানান। তার চোয়ালের হাড় ভেঙে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তাই এখন লিকুইড খাবার ছাড়া কিছু খেতে পারছেন না।
পরে সাংবাদিকদের মির্জা আব্বাস বলেন, ‘নুরের ওপর হামলা উদ্দেশ্যমূলক। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার চাই। দেশের বাইরে পাঠানোর কথা বললেও এখনো পাঠানো হয়নি। এতে হতাশা রয়েছে। তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হোক।
তিনি আরও বলেন, নুর ভালো হয়ে আবার ফিরে আসুক, সেটাই চাই। কিন্তু লক্ষ্য করে কিছু লোকের ওপর হামলা হচ্ছে। সরকারকে দেখা উচিত এগুলো কোথা থেকে হচ্ছে। না হলে বুঝতে হবে সরকার নিজেই তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না। মাজার ভাঙাসহ নানা অস্থিরতা বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। নির্বাচন সামনে রেখে এ রকম ঘটনা আরও ঘটতে পারে। এক শ্রেণির মানুষ চায় নির্বাচনই না হোক। দেশ এখন স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চলছে না, অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চলছে।
কেএইচ/এমআরএম/এমএস