চিয়া সিড বেশি খেলে যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে
শরীরের বাড়তি ওজনে ঝেড়ে ফেলতে কে না চায়। নিজে ফিট রাখতে কত কিছু না করে থাকে। তবে ওজন কমানো ক্ষেত্রে ম্যাজিকের মতো কাজ করে চিয়া সিড। চিয়া সিডে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকায় দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে এবং খিদে কম পায়। সেই সঙ্গে এত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় ত্বকের সমস্যা দূর করাসহ, হার্টের অসুখ, ক্যানসার এবং প্রদাহজনক রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
তবে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। তেমনি অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড শরীরের জন্য ভালো নয়। গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে আসে। অতিরিক্ত চিয়া সিডের ফলে যে সমস্যা দেখা দিতে পারে-
পেট ফাঁপা
প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চিয়া সিড খেলে অস্বাভাবিকভাবে পেট ফুলে যায় বা গ্যাস হতে পারে। পাকতন্ত্রে উচ্চ ফাইবার উপাদান প্রক্রিয়াকরণে অসুবিধার কারণে এমন হতে পারে।
পেটে ব্যথা
চিয়া সিডের কারণে তীব্র ব্যথা, পাচনতন্ত্রে জ্বালা বা অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে।
ডায়রিয়া
চিয়া সিড অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণের ফলে দেহে ফাইবারের পরিমাণ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ফাইবার ঠিকমতো হজম না হওয়ার কারণে ডায়রিয়া হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য
চিয়া সিড খাওয়ার সময় পরিমাণমতো পানি পান না করলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এটি শরীরের তরল শোষণ করে, অন্ত্রে গিয়ে ফুলে যাওয়ার ফলে এই সমস্যা দেখা দেয়।
বমি বমি ভাব
চিয়া সিড খাওয়ার পর বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে। হজমের সমস্যা হলে বা অতিরিক্ত খেলে এই সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক।
তবে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক চিয়া বীজ খাওয়ার নিয়ম-
১. শুরুতে একবারে বেশি খাওয়া যাবে না। প্রথমে অল্প পরিমাণ খেয়ে শরীরকে অভস্ত করতে হবে। প্রতিদিন এক গ্লাসে এক চা চামচ মতো চিয়া সিড খেতে পারেন। শরীর উচ্চ ফাইবারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিলে ধীরে ধীরে পরিমাণ বৃদ্ধি করুন।
২. পানির সঙ্গে মিশানোর সঙ্গে সঙ্গে না খেয়ে কয়েক ঘণ্টা পর খেলে ভালো ফলাফল পাবেন। এতে হজম করতে সুবিধা হবে।
৩. চিয়া সিড খাওয়ার সময় প্রচুর পরিমানে পানি খেতে হবে। কারণ এটি শরীর থেকে তরল শোষণ করে ফেলে।