চুয়াডাঙ্গায় মহাসড়কে গাছ ফেলে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে মহাসড়কে গাছ ফেলে পূর্বাশা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ভোর সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যে সন্তোষপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ও মালামাল লুট হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, ভোরে ৭-৮ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল রাস্তার পাশের দুটি গাছ কেটে মহাসড়কে ফেলে প্রথমে একটি পিকআপ ভ্যান থামায়। চালকের টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার পর গাড়িটিকে ব্যারিকেড হিসেবে রেখে দেয়। কিছুক্ষণ পর ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পূর্বাশা পরিবহন সেখানে পৌঁছালে ডাকাতরা চাপাতি ও লাঠিসহ হামলা চালিয়ে নিয়ন্ত্রণে নেয়। এসময় বাসের চালক ফয়সালকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে বাসটি মহাসড়ক থেকে আন্দুলবাড়িয়া বাইপাস সড়কের ইকোপার্কের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে যাত্রীদের কাছ থেকে আনুমানিক ৩০-৪০ হাজার টাকা, মোবাইল ও অন্যান্য জিনিস লুট করে বাসের দুটি জানালা ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। ঢাকাগামী পরিবহন সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করে বলেন, জীবননগর থানার পুলিশ রাতে টহল দিলেও জনবল কম হওয়ায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে না। এ কারণেই এ এলাকায় বারবার ডাকাতি ঘটছে। স্থানীয়রাও জ

চুয়াডাঙ্গায় মহাসড়কে গাছ ফেলে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে মহাসড়কে গাছ ফেলে পূর্বাশা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ভোর সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যে সন্তোষপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ও মালামাল লুট হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, ভোরে ৭-৮ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল রাস্তার পাশের দুটি গাছ কেটে মহাসড়কে ফেলে প্রথমে একটি পিকআপ ভ্যান থামায়। চালকের টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার পর গাড়িটিকে ব্যারিকেড হিসেবে রেখে দেয়। কিছুক্ষণ পর ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পূর্বাশা পরিবহন সেখানে পৌঁছালে ডাকাতরা চাপাতি ও লাঠিসহ হামলা চালিয়ে নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এসময় বাসের চালক ফয়সালকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে বাসটি মহাসড়ক থেকে আন্দুলবাড়িয়া বাইপাস সড়কের ইকোপার্কের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে যাত্রীদের কাছ থেকে আনুমানিক ৩০-৪০ হাজার টাকা, মোবাইল ও অন্যান্য জিনিস লুট করে বাসের দুটি জানালা ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়।

ঢাকাগামী পরিবহন সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করে বলেন, জীবননগর থানার পুলিশ রাতে টহল দিলেও জনবল কম হওয়ায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে না। এ কারণেই এ এলাকায় বারবার ডাকাতি ঘটছে।

স্থানীয়রাও জানান, নির্জন সড়ক হওয়ায় ডাকাতরা সহজেই মাঠ দিয়ে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জীবননগর থানার ওসি মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ভোর চারটা পর্যন্ত টহল ছিল। আজানের পর ফোর্স অন্যত্র চলে যায়। এই সুযোগটাই ডাকাতরা নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে এবং ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হুসাইন মালিক/এফএ/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow