চোর সন্দেহে আটক, মোবাইল থেকে বেরিয়ে এলো ধর্ষণের লোমহর্ষক ঘটনা

3 hours ago 4

পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে একটি বাড়িতে ইজিবাইক চুরির সময় স্থানীয় ব্যক্তিদের হাতে আটক হন রিফাত বিন সাজ্জাদ (২৩)। পরে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, তিনি এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছেন।

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাঝগ্রামের আকতার হোসেনের ছেলে রিফাত।

সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী।

তিনি জানান, গত ১৪ জানুয়ারি জেলার আটোয়ারী উপজেলার কিসমত এলাকায় রেললাইনে একটি অজ্ঞাত নারীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। হত্যাকাণ্ড হলেও এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারছিল না পুলিশ। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়। ঠাকুরগাঁওয়ের ভুল্লি এলাকার একটি পরিবার তাদের মেয়ে মনে করে মরদেহ গ্রহণ করে দাফন সম্পন্ন করেন।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের পরও আসামি সাজ্জাদ একের পর অপরাধ কর্ম চালিয়ে যেতে থাকে। গত ৮ মার্চ রাতে আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর এলাকার তাহিরুল ইসলামের বাড়িতে ইজিবাইক চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে সাজ্জাদ। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উত্তম মধ্যম দেয়। তার মোবাইলে একটি নারীকে বেঁধে রাখার ভিডিও দেখতে পায় তারা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে অজ্ঞাত ওই নারীকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। 

তিনি জানান, তার মাকে নিয়ে গালি দেওয়ায় তাকে প্রথমে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। পরে যৌনাঙ্গ, স্তনসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাকু দিয়ে কেটে হত্যা করা হয়। তারপর মরদেহ ফেলে দেওয়া হয় রেললাইনে।

পুলিশ সুপার জানান, আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

Read Entire Article