বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের স্ত্রী চৌধুরী শায়লা কামালের (৭৬) দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (১২ মার্চ) বাদ আসর ফরিদপুরের কমলাপুর ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ভোরে ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে ঢাকার এভারকেয়ার হসপিটালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সকালে ঢাকার গুলশান আজাদ মসজিদে প্রথম জানাজা শেষে মরদেহ ফরিদপুরে নিয়ে আসা হয়। বিকেলে বাদ আসর কমলাপুর ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে তাকে ময়েজমঞ্জিলে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুম কামাল ইবনে ইউসুফের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
জানাজা পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন মরহুমার জ্যেষ্ঠ কন্যা চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, মেজো মেয়ে চৌধুরী সাদাব ইউসুফ, বাহাদুরপুরের পীর সাহেব আব্দুল্লাহ মো. হাসান, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা, সদস্যসচিব একে কিবরিয়া স্বপন প্রমুখ।
এসময় জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুত তাওয়াব, শুরাসদস্য সামসুল ইসলাম আল বরাটি, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ইমতিয়াজ আহমেদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, জুলফিকার হোসেন জুয়েল, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুল হাসান ভুঁইয়া পিংকু, ড্যাবের সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম, ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ও তার স্ত্রী চৌধুরী শায়লা কামাল দুজনই ছিলেন শরিয়তপুরের পীর দুদু মিয়ার নাতনি। তারা সম্পর্কে ছিলেন খালাতো ভাইবোন। শরিয়তপুরের ভেদরগঞ্জের কার্তিকপুরের জমিদার বাড়ির সন্তান মরহুম নিজামউদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর মেঝো মেয়ে ছিলেন শায়লা চৌধুরী। ১৯৬৯ সালে ফরিদপুরের আরেক জমিদার ইউসুফ আলী চৌধুরী মোহন মিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। চার কন্যা জনক-জননী তারা। তাদের জ্যেষ্ঠ কন্যা চৌধুরী নায়াব ইউসুফ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর (উত্তর) শাখার আহ্বায়ক।
এনকেবি নয়ন/আরএইচ/এমএস