পাবনার ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ কর্মীরা পদ পাওয়ায় বিক্ষোভ মিছিল, পথসভা ও সংবাদ সম্মেলন করেছে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এছাড়া এই ঘটনায় নবগঠিত কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন সংগঠনটির চার নেতা।
বুধবার ( ২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে ঈশ্বরদী প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা।
তবে পদবঞ্চিতদের এসব দাবি অস্বীকার করেছেন নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। তারা বলেন, নবগঠিত কমিটির কেউ প্রকৃতপক্ষে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। কমিটি নিয়ে চলমান বিতর্ক পুরোটাই পরিকল্পিত।
এর আগে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ একযোগে পাবনার ১০টি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি অনুমোদন দেয়। তার মধ্যে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের ১২ সদস্যের কমিটিও ছিল। তবে এই কমিটিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত একাধিক ছাত্রলীগ কর্মীকে পদ দেওয়ার অভিযোগ। যা নিয়ে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্রদলে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। আন্দোলনকারী নেতাকর্মীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমিটি বাতিল করে যোগ্যদের নিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণার দাবি জানান।
এদিকে নতুন কমিটি নিয়ে বিতর্ক ওঠার একদিন পরই পদত্যাগ করেছেন কমিটিতে পদ পাওয়া চার নেতা। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা- সমালোচনা।
পদত্যাগ করা নেতারা হলেন, নবগঠিত কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহমুদুল ইসলাম শাওন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শ্রাবণ আহমেদ, প্রচার সম্পাদক মাহমুদ হাসান শান্ত ও দপ্তর সম্পাদক রোহান প্রীত আহমেদ।
পদত্যাগ করা ছাত্রদল নেতারা বলেন, কোনো ছাত্রলীগ নিয়ে ছাত্রদল কমিটি গঠন হতে পারে না। কেন্দ্রীয় নেতারা এমন কমিটির অনুমোদন কীভাবে দিল তা বোধগম্য নয়। যোগ্যদের নিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণার দাবি করছি। কোনো বিতর্কিত কমিটিতে আমরা ছাত্রদল থাকতে চাই না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি না দিলে বড় কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।
নবগঠিত কমিটির সভাপতি খালিদ বিন পার্থিব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা ছাত্রলীগ করত কি না সেটা সঠিক জানি না। কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র থেকে। আশানুরূপ পদ না পাওয়ার আক্ষেপে কয়েকজন পদত্যাগ করেছে। কমিটি নিয়ে চলমান বিতর্ক পুরোটাই পরিকল্পিত।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ এই কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। দুঃখিত, এ বিষয়ে আমি কোনো কিছু বলতে চাই না।
শেখ মহসীন/কেএইচকে/জিকেএস