ছাত্রীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে চাই : সাইদ বিন হাবিব
নির্বাচিত হলে ছাত্রীদের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত ক্যাম্পাস গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী সাইদ বিন হাবিব।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে আইটি ভবনে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সাইদ বিন হাবিব বলেন, ভোট দেওয়া শিক্ষার্থীদের মৌলিক ও ব্যক্তিগত অধিকার। শিক্ষার্থীরা যাকে যোগ্য মনে করবেন, তিনিই নির্বাচিত হবেন- এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ তাদের নিজস্ব।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি আমাকে নির্বাচিত করেন, তবে আমি তাদের কল্যাণে কাজ করব, ইনশাআল্লাহ। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাব। স্বপ্নের মতো একটি সুন্দর ও আধুনিক ক্যাম্পাস নির্মাণে আমি বদ্ধপরিকর। বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রকৃত একাডেমিক ক্যাম্পাসে রূপ দিতে চান বলেও জানান তিনি।
এর আগে, সকাল ৯টায় চাকসুর ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ১৩ প্যানেল; ২৩২ পদে মোট প্রার্থী ৯০৮ জন।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটার ও পদসংখ্যা বিবেচনায় একজন শিক্ষার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি পদে ভোট দিতে হবে প্রত্যেক ভোটারকে। অর্থাৎ গড়ে প্রতি ১৫ সেকেন্ডে একটি করে ভোট প্রদানের হিসেব করা হয়েছে।
এ নির্বাচনের ভোট হবে ব্যালট পেপারে। গণনা হবে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। এ পদ্ধতিতে ভোটারদের বৃত্ত পূরণ করে ভোট দিতে হবে।
এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী। অন্যদিকে ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৯৩ জন। তাদের মধ্যে নারী মাত্র ৪৭ জন। প্রতিটি হলে রয়েছে ১৪টি করে পদ। নির্বাচনে মোট ভোটার ২৭ হাজার ৫১৮ জন। এদিন বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষে ওএমআর পদ্ধতিতে গণনা শুরু হবে। হল সংসদের ফল ভোটকেন্দ্রেই ঘোষণা করা হবে। আর কেন্দ্রীয় সংসদের ফল ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচন বিতর্কমুক্ত করতে অনুষদের ডিনদের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভাগের সভাপতিরা হবেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। ভোটার তালিকায় সংযুক্ত করা হয়েছে ছবি। শহরে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে শাটল ট্রেনের সময়সূচি বাড়ানো হয়েছে। এদিন ১১ বার করে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করবে শাটল ট্রেন। এ ছাড়া চলাচল করবে ১৫টি বাস।