ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসন। পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাহমুদুল হাসানের ওপর আরোপিত ক্যাম্পাসে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত ১০ জুলাই জবির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ ও শহীদ সাজিদ ভবনের নিচতলায় ঘটে যাওয়া এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল নেতা মাহমুদুলের ওপর ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আবেদন, সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের ইতিবাচক মতামত এবং তদন্ত কমিটির প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে গত ২৮ আগস্ট নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। কর্তৃপক্ষের মতে, এ সিদ্ধান্ত ক্যাম্পাসে সৌহার্দ্য ও সমঝোতার প্রতীক।
ঘটনার দিন ছাত্রলীগের সঙ্গেে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. একেএম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর মো. শফিকুল ইসলাম পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। এ ছাড়া বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) তিন নেতা—ফারুক, ফয়সাল মুরাদ ও ফেরদৌস শেখ ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রদল নেতা মাহমুদুলসহ পাঁচজনের ওপর শাস্তি আরোপ করে।
ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. একেএম রিফাত হাসান বলেন, মাহমুদুল একজন প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতা। ঘটনাটি মূলত ভুল বোঝাবুঝির ফল। তিনি শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই শিক্ষার্থীদের আবেদন ও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তার শাস্তি প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে।
একই বিষয়ে কথা হলে জবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজাম্মুল হক জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও শিক্ষকদের সুপারিশ অনুসারেই শাস্তি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত ক্যাম্পাসে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ছাত্রদল নেতা মাহমুদুল হাসান বলেন, ঘটনাটি কেবল ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছিল। আমাদের লক্ষ্য ছিল ছাত্রলীগের অপতৎপরতা ঠেকানো। আমি শিক্ষকদের প্রতি কোনো অশ্রদ্ধা করিনি। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত ও শিক্ষকদের সুপারিশের জন্য কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখব।
টিএইচকিউ/এমএমকে/জিকেএস