জমি নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষের হামলায় ১১ জন আহত

4 hours ago 5

পাবনার সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণদিয়ার মন্ডলপাড়ায় সেকেন্দার আলীর নিজ জমিতে মাটি ফেলার জেরে বিএনপির নেতার পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ। একই বাড়ির প্রতিপক্ষের আরশেদ মন্ডল ও আশরাফ মন্ডলের নির্দেশে গভীর রাতে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

প্রতক্ষ্যদর্শী ব্যক্তিরা ও স্থানীয়রা জানান, দ্বন্দ্বমূলক জমিটি নিয়ে একটা মামলা চলছিল। বিভিন্ন সময়ে মামলার রায় সেকেন্দার আলী সরদারের পক্ষে এলেও আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে জায়গাটি দখলে রাখেন মান্নান মন্ডল।

তারা আরও বলেন, সম্প্রতি ওই জমির মামলার রায় সেকান্দার আলীর পক্ষে দেয় পাবনা সেটেলমেন্ট অফিস। রায় পাওয়ার পর সেকেন্দার আলী তার নিজ জমিতে মাটি ফেলতে যান। তখন মান্নান মন্ডল ও তার ছেলে মজিদ ও বাবুর নেতৃত্বে হাঁসুয়া, দা, জিআই পাইপ ও লাঠিসোঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো ও এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করা হয়।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা আরও বলেন, এক দফা হামলার পর সেকান্দার আলীর বাড়িতে গিয়ে ফের হামলা চালানো হয়। হামলার সময় কয়েকজন নারী এগিয়ে এলে তাদেরও বেধড়ক মারধর করা হয়। হাঁসুয়া ও রামদার কোপে আহত হন নারীরা। হামলায় গুরুতর আহত ১১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তারা।

এ হামলার সঙ্গে রুবেল মন্ডল (৩৪), রহমান মন্ডল (৪২), সেলিম মন্ডল (৪৬), আজমত মন্ডল (৩৬), টিটু মন্ডল (৩৪), আলিম মন্ডলসহ (৪১) প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন জড়িত থাকার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

হামলায় আহত ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সামাদ বলেন, আমরা এই ন্যক্কারজনক হামলার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে বিচার চাই। তাদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি।

হামলার শিকার পরিবারের সদস্য ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আল আমিন হোসেন বলেন, গত ১৬ বছর ধরে আমরা নির্যাতনের শিকার। আমাদের জায়গা দখল করে রেখেছে তারা। কেবল আমাদেরই নয়, পুরো অঞ্চলজুড়েই ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রাখে তারা। আমার পরিবারের ১১ জন সদস্যকে গুরুতর আহত করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। সরকারের কাছে অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করছি।

এই অভিযোগ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুস সালাম কালবেলাকে বলেন, এ ঘটনা তাদের গোষ্ঠীর মধ্যেই ঘটেছে। এখানে আওয়ামী লী-বিএনপির কোনো দ্বন্দ্ব নয়। হামলার খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে আমরা টিম পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আরশেদ মন্ডল নামের একজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা হবে এবং পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Read Entire Article