ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কার কেমন জনপ্রিয়তা রয়েছে তা নিয়ে জরিপ চালিয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যারেটিভ। এতে কার কত শতাংশ জনপ্রিয়তা রয়েছে তা তুলে ধরা হয়েছে।
শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৩০ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ জরিপ চালানো হয়েছে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীরা ডাকসু নির্বাচন ও টপ-থ্রি পজিশন নিয়ে কে কি ভাবছেন তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এ সময়ে সর্বমোট ১৪টি হল (৪টি মেয়েদের হল ও ১০টি ছেলেদের) থেকে ৫২০টি স্যাম্পল নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রত্যেক হল থেকে ৪০টি করে ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছে।
ন্যারেটিভ জানিয়েছে, জরিপের স্যাম্পলিং ছিল স্ট্রাটিফাইড র্যান্ডম এবং সরাসরি হলগুলোতে গিয়ে ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছে যাতে সিলেকশন বায়াস না থাকে। ডেটা এনালাইসিসের ক্ষেত্রে আমরা একদম প্রফেশনাল হেল্প নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে মোট ভোটারদের মধ্যে যারা ভোট দেবেন বলে মনস্থির করেছেন, তাদের সংখ্যা বের করা হয়েছে। এরপর, প্রতিটি পদের (ভাইস প্রেসিডেন্ট, জেনারেল সেক্রেটারি, অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল সেক্রেটারি) জন্য যারা নির্দিষ্ট প্রার্থীকে ভোট দেবেন বলে মনস্থির করেছেন, তাদের আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই ভোটারদের মধ্য থেকে যে পাঁচজন প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন, তাদের বেছে নেওয়া হয়েছে। বাকি সব প্রার্থীকে ‘অন্যান্য’ নামে একটি গ্রুপে রাখা হয়েছে। এরপর, প্রতিটি প্রার্থীর শেীর্ষ পাঁচজন এবং অন্যান্য) প্রাপ্ত ভোটকে মোট নির্ধারিত ভোটের শতকরা হিসাবে গণনা করা হয়েছে।
জেন্ডার, হল, বিভাগ এবং প্রত্যাশা অনুযায়ী বিশ্লেষণ করার জন্য, প্রতিটি শ্রেণি (যেমন : পুরুষ, নারী, প্রতিটি হল, প্রতিটি বিভাগ এবং প্রত্যাশা) থেকে দেওয়া ভোটকে ১০০ শতাংশ ধরা হয়েছে। এরপর, প্রত্যেক প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট এই শ্রেণিগুলোর মধ্যে কত শতাংশ, তা হিসাব করা হয়েছে।
জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভোট দিতে ৯৪ দশমিক ৮ শতাংশ আগ্রহী এবং এবং বাকি ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী আগ্রহী নয়। এছাড়া ভিপি (সহসভাপতি) পদে কাকে ভোট দিবেন তা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি ২৪ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং বাকি ৭৫ দশমিক ৩ শতাংশ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সিদ্ধান্ত নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে শামীম হোসেনের পক্ষে মতামত দিয়েছেন ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার, আবু সাদিক কায়েমের পক্ষে ৪১ দশমিক ৯ শতাংশ, আবিদুল ইসলামের পক্ষে ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং উমামা ফাতেমার পক্ষে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী।
জরিপে বলা হয়েছে, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ভোট কাকে দিবেন তা ঠিক করছেন ৬৬ দশমিক ১ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। এর মধ্যে আরাফাত চৌধুরীর পক্ষে মতামত দিয়েছেন ১৬ দশমিক ১ শতাংশ, মেঘমল্লার বসুর পক্ষে ৯ দশমিক ১২ শতাংশ, এসএম ফরহাদের পক্ষে ৩২ দশমিক ১ শতাংশ, তানবীর বারি হামিমের পক্ষে ১৬ দশমিক ১ শতাংশ, আবু বাকের মজুমদারের পক্ষে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী।
সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে এখনো ঠিক করতে পারেননি ৪০ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। আর সিদ্ধান্ত নেওয়াদের মধ্যে এজিএস পদে তানবীর আল হাদী মায়েদের পক্ষে মতামত দিয়েছেন ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ, মহিউদ্দিন খানের পক্ষে ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ, আশরেফা খাতুনের পক্ষে ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং জাবির আহমেদ জুবেলের পক্ষে ৪ দশমিক ০৭ শতাংশ শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অভারঅল জরিপে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী পরিষদ এগিয়ে আছেন বলে মনে হচ্ছে। তবে, যেহেতু এটি কেবল আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে করা হয়েছে, ফলে বিপুল সংখ্যক অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মতামত এখানে প্রতিফলিত হয়নি।