জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া থেকে শুরু করে ডায়রিয়া ও কলেরার মতো পানিবাহিত রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ব্র্যাক সেন্টার অডিটোরিয়ামে ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্যবিষয়ক আলোচনা সভায়’ এ আহ্বান জানানো হয়। জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচি (এনএমইপি) ও ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচি যৌথভাবে সভাটির আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্র্যাক ও এনএমইপির যৌথ উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য প্রকল্পের অধীনে সারা দেশে ৬০২টি ডেঙ্গু প্রতিরোধ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় কমিউনিটির অংশগ্রহণ নিশ্চিতের পাশাপাশি ২ হাজার ২৮৭ স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে ব্র্যাকের চেয়ারপারসন হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন নানাভাবে স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে। একক প্রচেষ্টায় এর সমাধান সম্ভব নয়, সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
আরও পড়ুন
শেষ হলো জলবায়ু নিরাপত্তা ও জ্বালানি স্থিতিস্থাপকতাবিষয়ক সেমিনার
ঝুঁকিপূর্ণ শহর সহনশীল করতে স্থানীয়দের পরিকল্পনা জরুরি
দেশে মাথাপিছু জলবায়ু ঋণ ৭৯.৬ মার্কিন ডলার
ব্র্যাকের স্বাস্থ্য ও মানবিক সংকট ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির ঊর্ধ্বতন পরিচালক মো. আকরামুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গুর বাইরেও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানিবাহিত রোগ, নারীর স্বাস্থ্য সমস্যা, হিট স্ট্রোক ও চর্মরোগ বাড়ছে। এগুলো মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনসহ সব অংশীজনের সমন্বিত পদক্ষেপ দরকার।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক কে এ এম মোরশেদ, গ্লোবাল ফান্ডের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার কেভিন লুথি, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মোমেনুল ইসলামসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
আলোচনায় বক্তারা জলবায়ু পরিবর্তনকে জাতীয় নীতিমালা ও কৌশলে অন্তর্ভুক্ত করা এবং জলবায়ু-স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় সমন্বিত কাঠামো শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
জেপিআই/একিউএফ/জেআইএম