জাতীয়করণসহ ৭ দাবি শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের

6 hours ago 3

চাকরি জাতীয়করণ, সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতা ও শিক্ষক কল্যাণ সংশ্লিষ্ট নানা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া বলেন, দেশের মাধ্যমিক শিক্ষার প্রায় ৯৫ শতাংশ দায়িত্ব পালন করে আসছেন বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীরা। অথচ তাদের নেই চাকরির নিরাপত্তা, সামাজিক মর্যাদা কিংবা অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা। এমনকি বাড়িভাড়া মাত্র এক হাজার টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা এবং উৎসব ভাতা মাত্র ৫০ শতাংশ– যা বর্তমানে চরম দ্রব্যমূল্যের বাজারে অত্যন্ত অবমাননাকর।

তিনি বলেন, এসব বৈষম্য দূর করতে হলে একমাত্র সমাধান হচ্ছে চাকরি জাতীয়করণ। এ দাবিকে সামনে রেখে গত ৭ অক্টোবর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয় ‘শিক্ষক মহাসমাবেশ’, যেখানে অর্ধ লক্ষাধিক শিক্ষক কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে চাকরি জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি দেন, যা শিক্ষক সমাজে ব্যাপক আশাবাদ তৈরি করেছে।

এদিকে, ঐক্যজোটের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শিক্ষক সমাজ অতীতে রাজপথ ও আলোচনার মাধ্যমে অনেক দাবি আদায় করেছে। অবসর সুবিধা, উৎসব ভাতা ও জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্তির ইতিহাস তার প্রমাণ। উল্লেখ করা হয়, ২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া অবসর সুবিধা প্রদান করেন এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ৫০ শতাংশ বেতন প্রদানের উদ্যোগ নেন– তাও কোনো আন্দোলন বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছাড়াই।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা বৃদ্ধি ও বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে বলেও দাবি করেন নেতারা। তবে অর্থ উপদেষ্টার বিদেশে অবস্থানের কারণে বাস্তবায়ন বিলম্ব হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী দেশে ফিরলে দ্রুত যৌথ বৈঠক আহ্বানের দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান সেলিম ভূইয়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতির ডাক দিচ্ছেন, তারা আদতে আওয়ামী ঘরানার। এর মাধ্যমে সরকারকে বিব্রত ও শিক্ষাব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এএএইচ/এমআরএম/জিকেএস

Read Entire Article