জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠানের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি পর্যায়ে আরোপিত সব ধরনের মূল্য সংযোজন কর (আগাম করসহ) অব্যাহতি পাবে। জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ ইয়ার্ডগুলোকে গ্রিন শিপইয়ার্ডে উন্নীত করার লক্ষ্যে শর্তসাপেক্ষে এ ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (মূসক নীতি) মশিউর রহমানের সই করা এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। ২০২৫ সালের ২৬ জুন পর্যন্ত এই ভ্যাট অব্যহতি বহাল থাকবে।
আদেশে বলা হয়েছে, সরকার ২০২৫ সালের ২৬ জুনের মধ্যে সব জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ ইয়ার্ডকে গ্রিন শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে উন্নীত করবে। নয়তো ওই সময়ের পর থেকে পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য কোনো জাহাজ বাংলাদেশে আসতে পারবে না। এ কারণে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সালের ৪৭ নম্বর আইন) এর ধারা ১২৬ এর উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী সব ধরনের মূল্য সংযোজন কর (আগাম করসহ) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
- আরও পড়ুন
সব মন্ত্রণালয়ের বাজেট কাঠামো ২৩ জানুয়ারির মধ্যে পাঠাতে নির্দেশ
বাজেট সহায়তা হিসেবে ৬০ কোটি ডলার দেবে এডিবি
এতে আরও বলা হয়, আমদানি করা মূলধনী যন্ত্রপাতি শুধু শিপ ব্রেকিং অ্যান্ড রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় এবং ব্যবহার হবে। এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র শুল্কায়নের সময় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করতে হবে। রেয়াতি হারে আমদানি করা মূলধনী যন্ত্রপাতি শুধু শিপ ব্রেকিং ও রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে ব্যবহার করতে হবে। ন্যূনতম পাঁচ বছরের আগে বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না। পাঁচ বছর অতিবাহিত হওয়ার আগে আমদানি করা ওইসব মূলধনী যন্ত্রপাতি বিক্রি বা হস্তান্তর করা হলে প্রদত্ত রেয়াতি সুবিধা বাতিল হবে। সেক্ষেত্রে আমদানি পর্যায়ে আরোপিত সব মূল্য সংযোজন কর (আগাম করসহ) আদায় করা হবে।
আদেশে বলা হয়, রেয়াতি হারে আমদানি করা মূলধনী যন্ত্রপাতি শুধু শিপ ব্রেকিং ও রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে ব্যবহার এবং ন্যূনতম পাঁচ বছরের আগে বিক্রি বা হস্তান্তর না করার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মূল্য সংযোজন কর বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট রাজস্ব কর্মকর্তা তদারকি করবেন। আমদানি করা মূলধনী যন্ত্রপাতি ন্যূনতম পাঁচ বছরের আগে বিক্রি বা হস্তান্তর করা হবে না মর্মে তিনশ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকারনামা শুল্কায়নের সময় আমদানিকারক কর্তৃক সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করতে হবে।
এসএম/কেএসআর