বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি জাতীয় উন্নয়নে মাইল ফলক হয়ে থাকবে। গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষে শহীদ জিয়ার অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়ায় জিয়া জন্মোৎসবের দ্বিতীয় দিনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এ দিন হালুয়াঘাটে দিনব্যাপী শহীদ জিয়ার ওপর রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা , শীতবস্ত্র বিতরণ , ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, শহীদ জিয়ার প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী উপলক্ষে পৃথক পৃথক অনুষ্ঠান হয়।
হালুয়াঘাট শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, দুপুরে ধারা উচ্চ বিদ্যালয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ, বিকেলে হালুয়াঘাট শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজে মাদ্রাসার ছাত্রদের মাঝে পবিত্র কোরআন শরীফ বিতরণ, মহিলাদের ঘরোয়া খেলা ও শীতবস্ত্র বিতরণ, সন্ধ্যায় হালুয়াঘাট উত্তর বাজারে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী ও ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ।
এসব অনুস্ঠানে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, শহীদ জিয়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তাদের মধ্যে অন্যতম। শহীদ জিয়ার পথচলা কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। তবে তিনি শক্ত হাতে দক্ষতা ও সফলতার সাথে সব সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সফল রাজনীতিবীদ ও রাষ্ট্র নায়কে পরিণত হয়েছিলেন। তার সফলতার মূল ভিত্তি ছিল দেশপ্রেম, সততা, নিষ্ঠা এবং গণমুখী পদক্ষেপ । তার ওপর যখনই গুরুদায়িত্ব এসেছে, তখন তিনি দেশ ও জনগণের কথা চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ জন্যই তিনি সফল হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, শহীদ জিয়ার মিডলইস্ট ডিপ্লোমেসি বা মধ্যপ্রাচ্যে কূটনীতির প্রধান উপাদান ছিল নিম গাছ। সৌদি আরবের মরু অঞ্চলে নিম গাছ রোপণ করে মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছিলেন। মরু অঞ্চলে নিমগাছ রোপণ করে তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন। শহীদ জিয়ার নিম গাছ ডিপ্লোমেসি পরবর্তীতে সৌদি আরবসহ আরব বিশ্বে কর্মসংস্থান ও ব্যবসা বাণিজ্য এবং সম্পর্ক উন্নয়নে নিয়ামক ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ডুবন্ত দেশকে উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতার মহাসড়কে টেনে মূল ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে তার অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। শুধু দেশেই নয় , বহির্বিশ্বেও তার অবদান রয়েছে।
তিনি বর্তমান পরিস্থিতি উল্লেখ করে বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা পতনের পর দেশ এক জটিল ও কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নানা সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে । এসব মোকাবিলায় জিয়াউর রহমানের মতো বিচক্ষণতা ,দক্ষতা, সততার সাথে কাজ করতে হবে। বার বার তার কাছে ফিরে যেতে হবে।
তিনি বলেন, সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। যত দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতের শাসন ফিরিয়ে আনা যাবে, তত দ্রুত টেকসই সংস্কারের মাধ্যমে সংকটের সমাধান হবে।
সভাপতির বক্তব্যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক এ কে এম ফজলুক হক ভূইয়া শহীদ জিয়ার স্মৃতি চারণ করে বলেন, জিয়াউর রহমানের ব্যাক্তিত্ব,বিচক্ষণতা,দেশপ্রেম সম্মোহনী শক্তির মতো কাজ করে। কৃষি ও কৃষকের কল্যাণে শহীদ জিয়ার অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।
এসব অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আসলাম মিয়া বাবুল, হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ,আরফান আলী ,আবু হাসনাত বদরুল কবির, আলী আশরাফ, আলমগীর আলম বিপ্লব , বিএনপি নেতা অধ্যাপক মেহেবুবুর রহমান মুকুল,আব্দুল হাই,মোনায়েম হোসেন খান খোকন, কাজী ফরিদ আহমেদ পলাশ, মিজানুর রহমান , ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আবদুল আজিজ খান ,জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা হোসনে আরা নীলু, জেলা ছাত্র দলের সিনিয়র সহ সভাপতি আসাদুজ্জামান আসিফ, জেলা ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মওলানা আলী আকবর,
উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন,সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবদুল গণি, সাধারণ সম্পাদক মশিউজ্জামান ,,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রুহুল আমিন খান, সদস্য সচিব আলিমুল ইসলাম,পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান দুলাল,সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান সুজন, উপজেলা ছাত্র দলের আহ্বায়ক নাইমুর আরেফীন পাপন,পৌর ছাত্র দলের আহ্বায়ক নূরে আলম জনি ,সদস্য সচিব তাজবীর হোসেন অন্তর ,,উপজেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক আকিকুল ইসলাম,সদস্য সচিব আলী আজগর, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক শেখ সাদির,সদস্য সচিব জাকির হোসেন চঞ্চল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।