রাজধানীর রামপুরায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন (৩৫) নামে এক লন্ড্রি ব্যবসায়ী। এ ঘটনার ২০৩ দিন পর কবর থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মামলা তদন্তের স্বার্থে আদালতের আদেশে পূর্ব রামপুরা কবরস্থান থেকে মোসলেম উদ্দিনের মরদেহ উত্তোলন করে সিআইডি।
ডিএমপি পূর্ব জোনের সিআইডি কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. আমির হোসেন জানান, গত ১৯ জুলাই দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে রামপুরার বনশ্রীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যু হয়। তাকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়। এ বিষয়ে রামপুরা থানায় একটি মামলা হয়। মামলা তদন্তের স্বার্থে আদালতের আদেশে আমরা পূর্ব রামপুরা কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করি।
তিনি আরও জানান,মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়, পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা এবং মৃতের বুকের ডানপাশের গুলির যখম শনাক্ত করা হবে।
নিহতের স্ত্রী নাসরিন আক্তার বলেন, আমার স্বামী একজন লন্ডি ব্যবসায়ী ছিলেন। গত ১৯ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে বাসায় ফেরার পথে বনশ্রী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে আমরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই পূর্ব রামপুরা কবরস্থানে দাফন। সিআইডি কর্মকর্তারা আমার স্বামীর মরদেহ আজ কবর থেকে উত্তোলন করেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন থানার গজারিয়া পাঙ্গাসি গ্রামে। এখানে ভাড়া বাসায় থাকতাম। আমার ১০ বছরের এক ছেলে ও ২২ দিনের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
কাজী আল-আমিন/এমএইচআর/জেআইএম