কক্সবাজারের টেকনাফে ধান কাটা শেষ হতে না হতেই পুরোদমে শুরু হয়েছে লবণচাষিদের কর্মযজ্ঞ। লবণ উৎপাদনে মাঠে নেমেছেন এক হাজার ৮৫৭ জন লবণচাষি।
টেকনাফে বর্তমানে আগের উৎপাদিত লবণ বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ৩০০-৩১০ টাকা। প্রতি মণ লবণ উৎপাদন করতে স্থানীয় পর্যায়ে খরচ পড়ে প্রায় দেড়শ টাকা। লবণের মূল্য আশানুরূপ থাকায় দ্বিগুণ উৎসাহে মাঠে নেমেছেন চাষিরা।
সরেজমিন দেখা যায়, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং, কাটাখালী, লম্বাবিল, উনছিপ্রাং, কাঞ্জরপাড়া, নয়াপাড়া, নয়াবাজার, মিনাবাজার, ওয়াব্রাং, সিকদারপাড়া, সুলিশপাড়া, নাটমুরাপাড়া, চৌধুরীপাড়া, রঙ্গিখালী, হ্নীলা, লেদা, মোছনী পাড়া, জাদীমুরা, টেকনাফ সদরের চৌধুরীপাড়া, মৌলভীপাড়া, সাবরাং ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া, সিকদারপাড়া, শাহপরীর দ্বীপ, নয়াপাড়া এবং বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালীসহ অন্যান্য এলাকায় লবণ উৎপাদনে পুরোদমে মাঠে নেমেছেন চাষিরা।
হ্নীলা সিকদারপাড়ার লবণচাষি আহমদ হোসাইন বলেন, ‘আগে নায্য মূল্যের অভাবে বিগত মৌসুমের লবণ গুদামে পড়ে থাকতো। বর্তমানে দাম ভালো পাওয়ায় লবণ আর গুদামে পড়ে থাকে না। আশা করছি, এ বছর আরও ভালো দাম পাবো।’
শাহপরীর দ্বীপের লবণচাষি সৈয়দ আলম জানান, চাষিদের সরকারিভাবে ঋণের পৃষ্ঠপোষকতা করলে ও সঠিক মূল্য নির্ধারণ করে দিলে এ খাতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পাবে।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) টেকনাফের ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে টেকনাফ উপজেলায় চার হাজার ৫০৭ একর জমিতে লবণ উৎপাদন হচ্ছে। মাঠে কাজ করছেন এক হাজার ৮৫৭ জন প্রান্তিক চাষি। এরইমধ্যে সাবরাং ও শাহপরীর দ্বীপে ৭৫০ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিগত মৌসুমে টেকনাফ উপজেলায় লবণ উৎপাদন হয়েছিল এক লাখ ৮০ হাজার ৯৩০ মেট্রিক টন। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে চলতি মৌসুমেও লবণের বাম্পার উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলম/এসআর/এমএস