বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন ও প্রকল্প কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে এনজিওগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করতে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোয়িকা) বাংলাদেশ অফিস ঢাকায় আয়োজন করেছে কোয়িকা–এনজিও পার্টনারশিপ উন্নয়ন কর্মশালা-২০২৫।
দিনব্যাপী এ কর্মশালায় কোয়িকার অর্থায়িত এনজিও, সরকারি প্রতিনিধি ও উন্নয়ন সহযোগীরা অংশ নেন। লক্ষ্য ছিল সহযোগিতা বাড়ানো, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং প্রকল্পের প্রভাব আরও সুদৃঢ় করা।
মঙ্গলবা (২৩ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কোয়িকা।
কর্মশালায় প্রকল্প উপস্থাপনা, সরকারি সংস্থার সঙ্গে মতবিনিময় এবং গ্রুপ আলোচনার আয়োজন করা হয়। অংশীদার সংগঠনগুলোর মধ্যে ছিল অ্যাড্রা, অক্সফাম, গ্লোবাল কেয়ার, হ্যাবিট্যাট ফর হিউম্যানিটি, চাইল্ডফান্ড, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড, সেভ দ্যা চিলড্রেন এবং হার্ট টু হার্ট ফাউন্ডেশন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে কোয়িকার কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. জিহুন কিম বলেন, বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন ও কমিউনিটি ক্ষমতায়নে সিভিল সোসাইটি সংগঠনগুলোর সঙ্গে শক্তিশালী অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে কোয়িকা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কর্মশালার একটি গুরুত্বপূর্ণ সেশনে এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর পরিচালক (রেজিস্ট্রেশন ও অডিট) ড. কে. এম. মামুন উজ্জামান এবং বিশেষ শাখার অতিরিক্ত ডিআইজি (এসসিও) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বাস্তবায়ন ও অনুবর্তিতা সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
কর্মশালার আগের দিন গত ২২ সেপ্টেম্বর, কোয়িকা কর্মকর্তা ও সাতটি এনজিও প্রতিনিধি রংপুরে “বাংলাদেশে মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ” প্রকল্প পরিদর্শন করেন। সেভ দ্যা চিলড্রেনের বাস্তবায়নে পরিচালিত এ প্রকল্পের আওতায় তারা কিশোরবান্ধব সেবা, বউ-শাশুড়ির মেলাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ প্রত্যক্ষ করেন।
পাঁচ বছরে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগে পরিচালিত এ উদ্যোগ কোয়িকার অন্যতম বৃহৎ প্রকল্প। লক্ষ্য রংপুর বিভাগে মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্য সূচক উন্নয়ন।
দুই দিনের এই আয়োজনের মাধ্যমে কোয়িকা বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় কার্যকর অংশীদারত্ব, জবাবদিহিতা এবং প্রভাবশালী কমিউনিটি কার্যক্রমকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছে।
জেপিআই/এমএস