মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় উপলক্ষে উৎসব করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে নিউইয়র্কে এ আয়োজন করে ‘বাংলাদেশি-আমেরিকান রিপাবলিকান অ্যালায়েন্স’।
এতে বক্তব্য দেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য গিয়াস আহমেদ। যিনি রিপাবলিকান পার্টির নেতা এবং প্রাক্তন নিউ ইয়র্ক স্টেট সিনেটর প্রার্থী।
গিয়াস আহমেদ বলেন, মিশিগানসহ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতেও ট্রাম্পের বিজয়ে অবদান রেখেছেন মুসলিম ভোটাররা। আর এভাবেই প্রমাণিত হলো যে, মুসলিম ভোটাররাও অবশ্যই নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের বিশেষ অবস্থানে রয়েছেন।
তিনি বলেন, এবার আমরা প্রমাণ করেছি মুসলিম ভোট মেটারস। প্রধানত মুসলিম ভোটের কারণেই সাতটি সুইং স্টেটে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়যুক্ত হয়েছেন। ইলেকট্ররাল কলেজ সিস্টেমের কারণে আমেরিকার প্রেসিডন্ট নির্বাচনে এই সাতটি সুইং স্টেট যাকে ভোট দেবে সেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়যুক্ত হবেন।
গিয়াস আহমেদ বলেন, এই সাতটি সুইং স্টেটে দুই মিলিয়ন মুসলিম বসবাস করে। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট মুসলমানদের ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দিয়ে মুসলিম ভোটের মুল্যায়ন এবং স্মৃতিচারণ করেছেন।
সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন, আয়োজক সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মুক্তিযোদ্ধা নাসির খান পল। অভিবাসীদের সঙ্গে ডেমোক্র্যাটরা ‘ধারাবাহিক প্রতারণা’ করে আসছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নাসির বলেন, প্রকৃত সত্য হচ্ছে ট্রাম্প কিংবা রিপাবলিকানরাই অভিবাসীদের বন্ধু। যারা নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে এসে রাজনৈতিক আশ্রয়সহ বিদ্যমান বিভিন্ন কর্মসূচিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদন করেছেন, রিপাবলিকানরা তাদের বন্ধু। আর যারা সেন্ট্রাল আমেরিকার চিহ্নিত ক্রিমিনাল এবং বাইডেন-কমলা প্রশাসনের দুর্বল ব্যবস্থাপনার পরিপ্রেক্ষিতে বেআইনিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়েছে, তাদেরকেই ঢালাওভাবে গ্রেপ্তার এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের কথা ভাবছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আশরাফুল হাসান বুলবুলের উপস্থাপনায় বিজয় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, কুইন্স কাউন্টি রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান অ্যান্থনি নুনজিয়ান্টো, কংগ্রেসপ্রার্থী পোল কিং, সিটি কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট-২৫ থেকে রিপাবলিকান প্রার্থী শাহ শহিদুল হক সাঈদ, আয়োজক সংগঠনের সেক্রেটারি প্রিয়তোষ দে, ভাইস প্রেসিডেন্ট বিদ্যুৎ সরকার, রিপাবলিকান এ কে আজাদ, মইনুল ইসলাম, মিসবাহ মাহমুদ, মনিরুল ইসলাম, ইসমাইল খান আনসারী, শওকত আকবর রীচি ও খান শওকত মইনুজ্জামান।
এ সময় বক্তারা উল্লেখ করেন, নিউইয়র্ক ছিল ডেমোক্র্যাট-স্টেট। গত নির্বাচনে সে চেহারায় চির ধরেছে। গৃহীত ভোটের ৪৫ শতাংশ পেয়েছেন ট্রাম্প। সামনের নির্বাচনে ৫৫ শতাংশ পাবেন রিপাবলিকানরা। এভাবেই পাল্টে যাবে নিউ ইয়র্কের রাজনৈতিক চেহারা।