ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে ঘরোয়া সমাধান

13 hours ago 4

ঠোঁটের রং স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি গাঢ় বা কালচে হয়ে গেলে অনেকেই অস্বস্তি বোধ করেন। এটা শুধু ধূমপানের জন্যই হয় না—খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ, সূর্যের আলো, কম পানি খাওয়া, বা এমনকি জিনগত কারণেও ঠোঁটের রং বদলে যেতে পারে।

ভালো খবর হচ্ছে, ঘরোয়া কিছু উপায়ে নিয়ম করে যত্ন নিলে ঠোঁট ধীরে ধীরে আগের মতো স্বাভাবিক ও সুন্দর হয়ে উঠতে পারে।

আরও পড়ুন : উপুড় হয়ে ঘুমান? জানুন এতে শরীরে কী হয়

আরও পড়ুন : যেসব ফল নিয়মিত খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে

কালো ঠোঁট দূর করতে ঘরোয়া উপায়

১. লেবুর রস

লেবুর প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান ঠোঁটের রঙ হালকা করতে সাহায্য করে।

ব্যবহারবিধি

লেবুর একটি ফালি চিপে সামান্য রস বের করে নিন

রসটি ঠোঁটে মেখে রাখুন ১০-১৫ মিনিট

এরপর ধুয়ে ফেলুন

প্রতিদিন রাতে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন। তবে বেশি সময় রেখে দেবেন না, কারণ লেবু খুব অ্যাসিডিক।

২. চিনি ও তেলের স্ক্রাব

মরা চামড়া তুলতে স্ক্রাব দারুণ কাজ করে।

যা লাগবে

১ চা চামচ মধু বা নারকেল তেল

১ চা চামচ চিনি (সাদা বা বাদামি)

ব্যবহারবিধি

দুটো মিশিয়ে ঠোঁটে মেখে হালকা করে ১-২ মিনিট ম্যাসাজ করুন

তারপর ধুয়ে ফেলুন

সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহার করুন

৩. বিটরুট (বিট)-এর রস

বিটে থাকা প্রাকৃতিক রঞ্জক ঠোঁটে লালচে আভা আনতে সাহায্য করে।

ব্যবহারবিধি

বিট কুরিয়ে রস বের করুন

তুলোয় করে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন পুরো রাত

সকালে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন

প্রতিদিন ব্যবহার করলে পরিবর্তন চোখে পড়বে

৪. শসার রস

শসা ঠান্ডা, তাই এটি ঠোঁট ঠান্ডা ও সতেজ রাখে।

ব্যবহারবিধি

শসা কুরিয়ে রস বের করুন

ঠোঁটে মেখে রাখুন ১০ মিনিট

এরপর ধুয়ে ফেলুন

দিনে ১-২ বার ব্যবহার করতে পারেন

আরও পড়ুন : চুলের গোড়া শক্ত করতে ৩ ঘরোয়া প্যাক

আরও পড়ুন : ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানুন

মনে রাখবেন, শসার রস সারা রাত লাগিয়ে রাখা যাবে না, ঠোঁটে অস্বস্তি হতে পারে।

অতিরিক্ত টিপস

ধূমপান ও অতিরিক্ত চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস কমান

প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন

ঠোঁটে রোদ থেকে রক্ষা করার জন্য SPF যুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করুন

ঠোঁট নিয়মিত পরিষ্কার ও ময়েশ্চারাইজ করুন

ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করা রাতারাতি সম্ভব নয়, তবে একটু ধৈর্য আর নিয়মিত যত্ন নিলে আপনি ফল পাবেনই। ঘরোয়া উপায়গুলো প্রাকৃতিক, তাই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় কম। তবে সমস্যা বেশি হলে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

তথ্যসূত্র: হেল্থলাইন

Read Entire Article