ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও সাড়া দেখে জয়ের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা ভোটের মাধ্যমে তাদের মতামত জানাচ্ছেন এবং সেই প্রক্রিয়ায় ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছে। ফলে জয়ের ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী।
মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা খুবই আশাবাদী। শিক্ষার্থীরা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। বিশেষ করে আমাদের প্যানেলের ভিপি ও এজিএস প্রার্থীরা অতীতে গণঅভ্যুত্থানে যেভাবে সক্রিয় ছিলেন, গত ১৭ বছরের রাজনীতিতেও তারা ধারাবাহিকভাবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান করেছেন। এই প্যানেলের প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় সবসময় সোচ্চার ছিলেন এবং ভবিষ্যতে তাদের অধিকার রক্ষার সক্ষমতাও রয়েছে।
এই নির্বাচনকে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে আখ্যায়িত করে নাছির বলেন, গত ১৭ বছর ধরে তরুণদের মতামতকে বাদ রেখে যে ধরনের শাসন কায়েম করা হয়েছিল, সেই শাসন ব্যবস্থা শিক্ষার্থীরা নিজেদের জীবনের বিনিময়ে প্রতিহত করেছে। তাই ডাকসুর এই নির্বাচন হচ্ছে পরিবর্তিত বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। আমরা মনে করি, ডাকসুর ভোটের মাধ্যমে দেশের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের একটি প্রাথমিক সূচনা হলো। আজকের এই দিনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাই—আপনারা যেন কেন্দ্রে আসেন। বিশেষ করে যারা দূর-দূরান্ত থেকে কষ্ট করে পড়াশোনা করছেন, তাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে যোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসবে।
- আরও পড়ুন
- সুষ্ঠু ভোট হলে জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী: সাদিক কায়েম
- কেন্দ্রে সাংবাদিক প্রবেশে বাধা, সদুত্তর নেই রিটার্নিং কর্মকর্তার
- প্রথম দুই ঘণ্টায় ২ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে হাজারের বেশি
নির্বাচনী পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোথাও বড় কোনো বিশৃঙ্খলার ছবি পড়েনি। তবে আমাদের ভিপি, জিএস, এজিএস প্রার্থীদের কিছু কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বলা হচ্ছে, নিজের হলে প্রবেশ করা যাবে না কিংবা মেয়েদের লাইনের কাছাকাছি যাওয়া যাবে না। আমরা মনে করি, এটি এক ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ। তারপরও সামগ্রিকভাবে ভোটকেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন। আমরা আশা করি, এই পরিবেশ বজায় থাকবে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ছয় বছর পর আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এনএস/কেএইচকে/জিকেএস