ডাকসুতে ভিপি পদে দাঁড়ানোর কারণ জানালেন উমামা ফাতেমা

7 hours ago 6
রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হবে বহুল কাঙ্ক্ষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পাস নির্ধারিত আটটি কেন্দ্রে এই ভোটগ্রহণ চলবে। দেশজুড়ে আলোচিত এই নির্বাচনের অন্যতম ভিপি প্রার্থী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা। তার এই পদে দাঁড়ানো নিয়ে ইতোমধ্যে বেশ আলোচনা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার এ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন খোদ ফাতেমাই। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি বলেন, ‘চব্বিশ সালের ৫ আগস্টের পরে এখানে সর্বক্ষেত্রে নারীদের যে একটা প্রতিনিধিত্ব থাকার কথা ছিল, সেটা জাস্ট নাই করে ফেলা হয়েছে। আপনি ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে প্রত্যেকটি জায়গায় দেখেন, সব জায়গাতেই দেখা যাচ্ছে যে ধরনের যোগ্যতা বা ক্যালিবার সম্পন্ন নারীদের আসার কথা ছিল, সেখানে বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে তাদের সরিয়ে ফেলা হয়েছে।’  উমামা বলেন, ‘এমনকি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তখনো নারী শিক্ষকদের নানাভাবে সাইডলাইন করে দিতে দেখা গেছে।’ ডাকসুর ভিপি প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর কারণ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আজকের এই ডাকসু নির্বাচন আসল। আমি একদমই আত্মসম্মানের জায়গা থেকে ভিপি পদে নির্বাচন করছি। আত্মসম্মানের জায়গাটি এখানে যে, আমি জানি গত ৬ বছর এই জায়গায় কী পরিমাণ ফাইট আমাদের করে যেতে হয়েছে। এমনকি জুলাই মাসে আমরা জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি। জুলাই মাসের পরও এই দেশের জন্য যেখানে যেভাবে কথা বলতে হয়, প্রত্যেকটা জায়গায় আমি কথা বলে গেছি—সেটা জুলাই শহীদদের জন্য হোক, জুলাই নারীদের জন্য হোক কিংবা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটি সাধারণ মানুষের ভয়েসের জন্য হোক।’ ‘আমি মনে করি, ভিপি পদে দাঁড়ানোর আমার একমাত্র কারণ এই হারিয়ে যাওয়া ভয়েসগুলো। এই নারীরা যে সাবার্টন হয়ে গেল, নারীরা যে হারিয়ে গেল, সেই নারীদের হারিয়ে যাওয়া ভয়েসগুলোর প্রতিনিধিত্ব অবশ্যই ডাকসুতে হওয়া উচিত এবং সেই প্রতিনিধিত্ব ভিপি পদে হওয়া উচিত। অন্যকোনো পদে না। তাহলেই শুধুমাত্র আমরা গত একবছরে যত সাইডলাইনের শিকার হয়েছি, সেটার পাল্টা একটা জবাব আমরা এখানে হাজির করতে পারব। সেজন্যই আমি ভিপি পদে নির্বাচন করছি।’
Read Entire Article