ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশ নেওয়া নারী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানসুরা আলম। তিনি বলেছেন, ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থী ফাহমিদা আলমকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ও ঘৃণিত আচরণ। অথচ দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
নারী শিক্ষার্থীকে নিয়ে ‘বিতর্কিত’ ফেসবুক পোস্ট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেত্রীদের হেনস্তা এবং নারী শিক্ষার্থীদের সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ মিছিল শেষে অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্রদল নেত্রী মানসুরা এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ঢাবি শাখা ছাত্রদল এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
মানসুরা বলেন, স্বৈরাচার পতনের পর যে বাংলাদেশ তৈরি হয়েছিল, আমরা নারীরা ভেবেছিলাম সেটি হবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সমঅধিকারের রাষ্ট্র। কিন্তু আগস্টের পর আমরা এক মধ্যযুগীয় উপদ্রবের শিকার হয়েছি। নারীদের কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করার জন্যই বারবার আমাদের ওপর আক্রমণ চালানো হয়েছে, সাইবার বুলিং করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মানসুরা। তিনি বলেন, একজন নারী প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া হলো অথচ প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিলো না। আমি সন্দেহ প্রকাশ করছি, এই প্রশাসনের অধীনে ডাকসু কতটা নিরপেক্ষ হবে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে নারীদের অধিকার ফিরিয়ে আনুন। নারীবিরোধী গোষ্ঠীর হাত থেকে নারীদের রক্ষা করুন।
সমাবেশে ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আলী হোসেনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী কীভাবে প্রকাশ্যে গণধর্ষণের হুমকি দিতে পারে? অথচ প্রশাসন এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আবিদুল বলেন, অতিদ্রুত আলী হোসেনকে গ্রেফতার করে একাডেমিক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ক্যাম্পাস তখনই নিরাপদ হবে, যখন প্রতিটি ইঞ্চি মাটি আমার বোনদের জন্য নিরাপদ হবে।
এফএআর/এমএমকে/বিএ/এএসএম