রাজশাহী মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের ১০ নেতা ডাকাত দলের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন। সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পৌনে এক লাখ টাকা, মোবাইলসহ সর্বস্ব লুট করে নেওয়া হয়েছে।
রোববার (০৯ মার্চ) রাত ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কের ঝাঔল এলাকায় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটিতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ড. মো. ওবায়দুল্লাহ বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যমুনা সেতু পশ্চিম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আনারুল ইসলাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে ঢাকা থেকে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে মাইক্রোবাসে করে রাজশাহীতে ফিরছিলেন জামায়াতের নেতারা। তাদের গাড়িটি সিরাজগঞ্জ যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ সড়কের, কোনাবাড়ি ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট পশ্চিমে ঝাঔল এলাকায় পৌঁছালে ডাকাত দল তাদের বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে।
এ সময় শব্দ শুনে চালক চাকা ফেটে গেছে ভেবে গাড়িটি রাস্তার পাশে দাঁড় করায়। ওই মুহূর্তে মধ্যে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ ৭ থেকে ৮ জনের ডাকাতের দলটি ধারালো অস্ত্র, রামদা, হাঁসুয়া, ডেগার ও লোহার রড নিয়ে এসে হামলা চালায়। তারা সবাইকে জিম্মি করে নগদ অর্থ ও মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়।
পুলিশের কাছে দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ডাকাতির মামলার বাদী ড. ওবায়দুল্লাহর স্মার্টফোন, ফারুক মোহাম্মদ ইসমাইল আলমের নগদ ২৪ হাজার টাকা, গোলাম মোস্তফার দুটি ফোন ও নগদ ১৮ হাজার টাকা, আব্দুল আজিজের কাছে থাকা ১টি মোবাইল ও নগদ ৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা।
এ ছাড়া শওকত আলীর কাছে থাকা ১টি ফোন ও নগদ ৮ হাজার ৫০০ টাকা এবং ড্রাইভার আশেক আল রহমানের কাছে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। পরে ভুক্তভোগীরা যমুনা সেতু পশ্চিম থানায় একটি ডাকাতির মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে যমুনা সেতু পশ্চিম থানা পুলিশের ওসি আনারুল ইসলাম বলেন, ডাকাতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।