ডিজিটাল বৈষম্য: সংযোগের যুগে নতুন সামাজিক স্তরবিন্যাস

2 hours ago 5

ডিজিটাল প্রযুক্তি আধুনিক সমাজে এক নতুন চালিকাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, যা মানুষের জীবনযাত্রায়, অর্থনীতিতে এবং সামাজিক সম্পর্কে গভীর প্রভাব ফেলছে। একবিংশ শতকে বিশ্ব যখন দ্রুত ডিজিটাল রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তখন এই প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার এবং এর ব্যবহার সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের এক নতুন রূপ সৃষ্টি করছে। এই ধারণাটিই ডিজিটাল সামাজিক স্তরবিন্যাস (Digital Social Stratification Theory) তত্ত্বের মূল ভিত্তি।

এই তত্ত্ব অনুযায়ী, সমাজে প্রথাগতভাবে বিদ্যমান শ্রেণি, পেশা বা শিক্ষাগত যোগ্যতার মতো বিষয়গুলো ছাড়াও এখন ডিজিটাল প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার এবং তার কার্যকর ব্যবহারের সক্ষমতা সামাজিক অবস্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই তত্ত্বের বিশ্লেষণ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ গত এক দশকে ডিজিটাল আর্থিক সেবা এবং মোবাইল ইন্টারনেটের দ্রুত বিস্তার দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোতে এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন এনেছে।

বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা, সাশ্রয়ী স্মার্টফোন এবং ফিনটেক প্ল্যাটফর্মগুলোর (যেমন- বিকাশ, নগদ, রকেট) কারণে দেশের আর্থিক লেনদেন, তথ্যপ্রবাহ এবং সুযোগ-সুবিধার বণ্টন সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত হয়েছে। এই ডিজিটাল অগ্রগতি দেশের অর্থনীতিকে একটি নতুন গতিশীলতা দিয়েছে। যেমন- গ্রাম থেকে শহরে আসা অভিবাসী শ্রমিকরা এখন সহজেই তাদের পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতে পারে, ছোট ব্যবসায়ীরা ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে এবং বিভিন্ন সেবা ঘরে বসেই উপভোগ করা সম্ভব হচ্ছে।

তবে, এ সুবিধাগুলো সবার কাছে সমানভাবে পৌঁছায়নি। বরং, এটি একটি নতুন ধরনের বৈষম্য তৈরি করেছে, যা শহুরে-গ্রামীণ, শিক্ষিত-অশিক্ষিত এবং ধনী-দরিদ্রের মধ্যকার ব্যবধান আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ডিজিটাল সামাজিক স্তরবিন্যাস তত্ত্বের দৃষ্টিকোণ থেকে, যারা প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পেরেছে, তারা অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনে এগিয়ে যাচ্ছে, আর যারা পিছিয়ে পড়েছে, তারা আরও বেশি প্রান্তিক হয়ে পড়ছে।

ডিজিটাল স্তরবিন্যাসের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে স্মার্টফোন এবং মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যবহার। বর্তমানে, স্মার্টফোন কেবল একটি যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং এটি আর্থিক সেবা, শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং তথ্যে প্রবেশাধিকারের একটি চাবি। যারা এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ, দক্ষতা এবং নেটওয়ার্ক অর্জন করতে পেরেছে, তারা অনলাইনের মাধ্যমে ভালো চাকরির খবর, দ্রুত রেমিট্যান্স, ই-কমার্স, টেলিমেডিসিন এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে।

উদাহরণস্বরূপ, শহুরে শিক্ষিত যুব সম্প্রদায় সহজেই বিভিন্ন ফিনটেক অ্যাপ ব্যবহার করে অনলাইন কেনাকাটা, বিল পরিশোধ বা ক্ষুদ্র বিনিয়োগ করতে পারছে। এটি তাদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে শক্তিশালী করছে এবং নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করছে। অন্যদিকে অবকাঠামোগত ঘাটতি, ডিজিটাল অদক্ষতা বা অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে যারা এই প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত, তারা সামাজিক ও অর্থনৈতিক উভয় ক্ষেত্রেই পিছিয়ে পড়ছে।

ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালু এবং ফাইভ-জি প্রবর্তনের পরিকল্পনা বৈষম্য কমাতে সহায়ক হতে পারে, কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ে ডিজিটাল সাক্ষরতা কর্মসূচি এবং গ্রামীণবান্ধব ফিনটেক উদ্ভাবন ছাড়া এই কাঠামোগত বৈষম্য থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। যদি গ্রামীণ ব্যবহারকারীরা অ্যাপের ইন্টারফেস বুঝতে না পারে বা আর্থিক শর্তাবলি অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়, তবে তারা এই ডিজিটাল অর্থনৈতিক ইকোসিস্টেমের পূর্ণ সুবিধা পাবে না।

বাংলাদেশের গ্রামীণ বাস্তবতা এই ডিজিটাল বৈষম্যের একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরে। যদিও সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে মোবাইল নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি বেড়েছে, তবুও গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেটের গতি প্রায়শই ধীর এবং অনির্ভরযোগ্য। আয়ের তুলনায় স্মার্টফোনের দাম অনেক বেশি এবং ডিজিটাল আর্থিক সেবার বিষয়ে সচেতনতাও সীমিত। গ্রামীণ অনেক পরিবার এখনো নগদভিত্তিক অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল অথবা লেনদেনের জন্য মধ্যস্বত্বভোগীদের ওপর ভরসা করে।

যদিও বিকাশ ও নগদের এজেন্টরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছেছে, তবুও ডিজিটাল সাক্ষরতার অভাব একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক ব্যবহারকারী কেবল টাকা গ্রহণ বা পাঠানোর জন্য মোবাইল মানি ব্যবহার করে, কিন্তু সঞ্চয় পরিকল্পনা, অনলাইন মার্কেটপ্লেস বা ক্ষুদ্র বিনিয়োগের মতো দীর্ঘমেয়াদি সুবিধাগুলো থেকে তারা বঞ্চিত থাকে। ফলে ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কেবল প্রাথমিক লেনদেনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে এবং সত্যিকারের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন বা সামাজিক গতিশীলতায় রূপান্তরিত হয় না।

ডিজিটাল বৈষম্য কেবল অবকাঠামোগত নয় বরং এটি সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাগত বিষয়গুলোর সাথেও জড়িত। ডিজিটাল সামাজিক স্তরবিন্যাস তত্ত্ব জোর দিয়ে বলে যে শুধু একটি ডিভাইস হাতে থাকলেই বৈষম্য দূর হয় না; সেই ডিভাইসটি কার্যকরভাবে ব্যবহারের সক্ষমতাও সমানভাবে জরুরি।

শহুরে জনগোষ্ঠীর উচ্চ শিক্ষার মান, ইংরেজি ভাষার জ্ঞান এবং প্রযুক্তি-দক্ষতা তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় তারা সহজেই ফিনটেক অ্যাপ, ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম এবং গিগ অর্থনীতির সুবিধা নিতে পারছে। এর বিপরীতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারী ও বয়স্করা, বহু স্তরে বঞ্চনার শিকার। কম সাক্ষরতার হার, কঠোর সামাজিক প্রথা এবং ডিজিটাল ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা তাদের সম্পূর্ণ অংশগ্রহণে বাধা দেয়। ফলে যদিও মোবাইল মানি সেবা তাদের কাছে পৌঁছাচ্ছে, কিন্তু প্রযুক্তির পূর্ণ রূপান্তরমূলক সম্ভাবনাকে তারা কাজে লাগাতে পারছে না।

শ্রেণি বিভাজনও এই নতুন ডিজিটাল অর্থনীতির দ্বারা পুনর্গঠিত হচ্ছে। ধনী ও শিক্ষিত অভিজাত শ্রেণি, যারা প্রথাগত সামাজিক-অর্থনৈতিক কাঠামোতে আগে থেকেই প্রভাবশালী ছিল, তারাই এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক আর্থিক পরিকল্পনা, অনলাইন বিনিয়োগ প্ল্যাটফর্ম এবং বৈশ্বিক ই-কমার্সের সুবিধা নিচ্ছে। তাদের সন্তানরা অনলাইন শিক্ষা, কোডিং কোর্স এবং আন্তর্জাতিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অংশগ্রহণ করছে, যা তাদের ভবিষ্যতের কর্মজীবনে সুবিধা দেবে।

অন্যদিকে, শ্রমজীবী, অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মী এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠী প্রায়শই নিম্নস্তরের ডিজিটাল ব্যবহারে সীমাবদ্ধ থাকে, যেমন শুধু বার্তা আদান-প্রদান বা মৌলিক মোবাইল মানি লেনদেন। এটি ডিজিটাল সামাজিক স্তরবিন্যাস তত্ত্বের মূল ব্যাখ্যার সঙ্গে মিলে যায়: প্রযুক্তি সচেতন নীতি ছাড়া বিদ্যমান বৈষম্যকে দূর করার পরিবর্তে তা আরও শক্তিশালী হয়।

ফিনটেক প্ল্যাটফর্মগুলো, যেমন বিকাশ, নগদ এবং রকেট, এই দ্বৈততাকে স্পষ্ট করে তোলে। একদিকে, তারা আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে এক বিপ্লব ঘটিয়েছে, যা দেশের কোটি কোটি মানুষকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়াই নিরাপদ অর্থ প্রেরণের সুযোগ দিয়েছে। অভিবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে এই সেবাগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম।

অন্যদিকে, এই সেবাগুলো এক নতুন ক্ষমতা কাঠামো তৈরি করেছে। এজেন্টরা প্রায়শই লেনদেনের ফি নিয়ন্ত্রণ করে, শহরকেন্দ্রিক ফিনটেক কোম্পানিগুলো ডিজিটাল লেনদেনের নিয়ম নির্ধারণ করে এবং উন্নত সঞ্চয় বা মাইক্রো-লোন সুবিধাগুলো মূলত শহুরে মধ্যবিত্তদের জন্যই প্রণীত ও বাজারজাত হয়।

সরকারি নীতি ও নিয়ন্ত্রক কাঠামো এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগ আইসিটি সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার দিলেও, ডিভাইসের ওপর উচ্চ কর, অনিয়মিত ইন্টারনেট মান এবং কিছু নিয়ন্ত্রক জটিলতা সর্বজনীন প্রবেশাধিকারে বাধা সৃষ্টি করছে।

ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালু এবং ফাইভ-জি প্রবর্তনের পরিকল্পনা বৈষম্য কমাতে সহায়ক হতে পারে, কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ে ডিজিটাল সাক্ষরতা কর্মসূচি এবং গ্রামীণবান্ধব ফিনটেক উদ্ভাবন ছাড়া এই কাঠামোগত বৈষম্য থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। যদি গ্রামীণ ব্যবহারকারীরা অ্যাপের ইন্টারফেস বুঝতে না পারে বা আর্থিক শর্তাবলি অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়, তবে তারা এই ডিজিটাল অর্থনৈতিক ইকোসিস্টেমের পূর্ণ সুবিধা পাবে না।

লিঙ্গবৈষম্য এই চিত্রকে আরও জটিল করেছে। বাংলাদেশে ডিজিটাল লিঙ্গবৈষম্য উল্লেখযোগ্য। পুরুষদের তুলনায় নারীদের স্মার্টফোন মালিকানা, মোবাইল ইন্টারনেট প্রবেশাধিকার এবং ফিনটেক ব্যবহারের হার কম। সমাজে বিদ্যমান প্রথা যা নারীর চলাফেরা সীমিত করে বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তাদের সম্পৃক্ততাকে নিরুৎসাহিত করে, তা ডিজিটাল জগতেও প্রতিফলিত হয়েছে।

যদিও মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠান এবং এনজিওগুলো ডিজিটাল সমাধান অন্তর্ভুক্ত করতে শুরু করেছে, যেমন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য মোবাইলভিত্তিক ঋণ বিতরণ বা অনলাইন মার্কেটপ্লেস প্রশিক্ষণ, তবুও পরিবর্তনের গতি খুবই ধীর। নীতি ও সামাজিক পর্যায়ে বিশেষ উদ্যোগ ছাড়া ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো অফলাইন আর্থিক ও সামাজিক ব্যবস্থার পিতৃতান্ত্রিক প্রতিবন্ধকতাকে পুনরুৎপাদন করতে পারে।

বাংলাদেশে ডিজিটাল সামাজিক স্তরবিন্যাসের প্রভাব বহুমাত্রিক। অর্থনৈতিকভাবে, এটি নির্ধারণ করছে কারা ডিজিটাল অর্থনীতিতে অংশ নিতে পারবে, কারা দূরবর্তী চাকরি পাবে এবং কারা ই-কমার্স বা গিগ প্ল্যাটফর্ম থেকে আয় করতে পারবে। সামাজিকভাবে, এটি যোগাযোগের ধরন, সাংস্কৃতিক উপভোগ এবং রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাকে প্রভাবিত করছে।

শহুরে তরুণরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজনৈতিক বিতর্ক, আন্দোলন এবং অনলাইন সচেতনতায় সক্রিয় হলেও অনেক গ্রামীণ এলাকা এখনো এই ডিজিটাল জনপরিসর থেকে বিচ্ছিন্ন। ফলে ডিজিটাল প্রবেশাধিকার কেবল প্রযুক্তিগত সম্পদ নয়, বরং এটি এক ধরনের ক্ষমতা, যা নির্ধারণ করে কার কণ্ঠস্বর শোনা হবে এবং কারা অদৃশ্য থেকে যাবে।

এই বৈষম্য মোকাবিলায় বহুমুখী পদক্ষেপ প্রয়োজন, যা কেবল অবকাঠামো উন্নয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ জরুরি হলেও এর পাশাপাশি ডিজিটাল সাক্ষরতা বৃদ্ধি, সাশ্রয়ী ডিভাইসের প্রাপ্যতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ফিনটেক ডিজাইন এবং লিঙ্গ-সংবেদনশীল নীতির প্রয়োজন।

গ্রামীণ যুবকদের জন্য অ্যাপভিত্তিক উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ, স্থানীয় ভাষায় আর্থিক প্রযুক্তির ব্যবহারিক নির্দেশনা এবং নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য স্মার্টফোন ক্রয়ে ভর্তুকি এই ব্যবধান কমাতে পারে। সরকার, বেসরকারি খাত এবং সিভিল সোসাইটির মধ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ডিজিটাল রূপান্তর নতুন ধরনের বঞ্চনা সৃষ্টি না করে।

ডিজিটাল সামাজিক স্তরবিন্যাস তত্ত্ব বাংলাদেশের চলমান সামাজিক পরিবর্তনকে বিশ্লেষণ করার এক শক্তিশালী দৃষ্টিকোণ প্রদান করে। দেশটি এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে যেখানে ডিজিটাল প্রযুক্তি হয় সুযোগের গণতন্ত্রীকরণ ঘটাতে পারে, নয়তো বিদ্যমান বৈষম্যকে আরও গভীর করতে পারে।

বিকাশ, নগদ, রকেট-এর মতো মোবাইল ইন্টারনেটভিত্তিক ফিনটেক প্ল্যাটফর্মগুলো নিঃসন্দেহে অন্তর্ভুক্তির নতুন পথ তৈরি করেছে, কিন্তু কাঠামোগত, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাগত বাধাগুলো অতিক্রম না করলে এগুলো মুক্তির পরিবর্তে বৈষম্যের হাতিয়ারেও পরিণত হতে পারে।

আগামী দশকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে এই ডিজিটাল অগ্রগতিকে সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক শক্তিতে রূপান্তরিত করা, যাতে এটি কেবল একটি ডিজিটাল অভিজাত শ্রেণি সৃষ্টি না করে বরং সমাজের সব স্তরকে উন্নয়নের মূল স্রোতে নিয়ে আসে। তবেই একটি সংযুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচারের রূপ পাবে।

লেখক: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী।

এইচআর/এমএফএ/জিকেএস

Read Entire Article