ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আমেজ জমে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাসে। প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে হাজির হচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে, দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। বিভিন্ন প্যানেল যেমন নিজেদের মতো ইশতেহার তৈরি করেছে, একইভাবে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছেন যারা- তারাও নিজেদের ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
গত কয়েক দিন ধরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণার সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের ইশতেহার তুলে ধরছেন ভোটারদের কাছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন এলাকায় কথা হয় ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র-প্রার্থী রাশেদ খান আদিবের সঙ্গে। আদিব অর্গানাইজেশন স্টাডিজ অ্যান্ড লিডারশিপ বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী।
জাগো নিউজকে আদিব বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেক্টর নিয়ে নতুনভাবে কাজ করতে চাই। আমার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাই। জুলাই আন্দোলনে রাজপথে থেকেছি। সেসময় আমার বিরুদ্ধে মেট্রোরেল পোড়ানোর মিথ্যা মামলা দিতে চেয়েছিল। ছাত্র-শিক্ষকদের সহায়তায় ছাড়া পাই। মুচলেকা নিয়েছিল যে আর আন্দোলন করবো না। তবুও পরদিনই আবার রাজপথে নামি।
আরও পড়ুন
- ভিপি পদে লড়া ৪৩ প্রার্থীর অধিকাংশই ‘আড়ালে’, আলোচনায় ৯ মুখ
- ভোট চাইতে এলে বিরিয়ানি-ফলমূল-নাশতা আনতে দরজায় নোটিশ!
তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন বাস কমিটির সঙ্গে যুক্ত। সেই অভিজ্ঞতাকেই কাজে লাগাতে চাই।
পরিবহন খাত নিয়ে ৮ দফা ইশতেহার রয়েছে আদিবের। সেগুলো হলো-
১. ক্যাম্পাসের সব বাস ট্র্যাকারের আওতায় আনা। প্রশাসনের সহায়তায় অ্যাপের মাধ্যমে সব বাসের গতিবিধি জানা।
২. ক্যাম্পাসে বহিরাগত নিয়ন্ত্রণ, শুধুমাত্র নির্ধারিত পোশাক পরিহিত রিকশা চলাচল এবং নির্দিষ্ট ভাড়া নির্ধারণ।
৩. ক্যাম্পাসে অভ্যন্তরীণ রুটে (মৈত্রী হল-ভিসি চত্বর-টিএসসি-কার্জন হল- সুফিয়া কামাল হল) নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বাস বাড়ানো এবং শিডিউল নিয়ন্ত্রণ।
৪. ক্যাম্পাসে সব রুটে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন অনুযায়ী বাসের সংখ্যা বাড়ানো এবং জরুরি হেল্প লাইন চালু করা।
৫. শিক্ষার্থীদের চাহিদার ভিত্তিতে নতুন রুট সংযোজন।
৬. সন্ধ্যা ও রাতের পরিষেবা হিসেবে এবং লাইব্রেরি ব্যবহার করে যেন সবাই রাতে বাড়ি ফিরতে পারেন- এজন্য সান্ধ্যকালীন ট্রিপ যুক্ত করা। পাশাপাশি ছুটির দিনে অন্তত একটি ট্রিপ নিশ্চিত করা।
৭. আবাসিক শিক্ষার্থীদের ট্রান্সপোর্টেশন কস্ট অর্ধেক করা।
৮. কোনো সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত বাস ও অন্যান্য ভারী যানবাহন প্রবেশ নিষিদ্ধ করা।
এনএস/কেএসআর/এমএস