তহবিল না বাড়ালে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর উন্নয়ন হুমকির মুখে পড়বে

2 months ago 33

জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য শক্তিশালী অভিযোজন তহবিল নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের (কপ-২৯) ‘গভর্ন্যান্স ফর স্ট্রেনদেনিং এসডিজি ক্লাইমেট সিনার্জিস’ শীর্ষক সাইড ইভেন্ট-১ ব্লু জোনে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি, যা দক্ষিণ এশিয়ার নিম্নভূমি ডেল্টা অঞ্চলে অবস্থিত।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ব্যাখ্যা করেন যে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, অতিরিক্ত তাপমাত্রা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলছে। এসব প্রভাব দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর অধিকতর প্রভাব ফেলছে এবং বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

অর্থায়নের ঘাটতি নিয়ে আলোচনাকালে তিনি উল্লেখ করেন যে, অভিযোজন কার্যক্রমে বাংলাদেশকে প্রতি বছর ৮.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন, তবে দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মাত্র ৩ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে, ফলে ৫.৫ বিলিয়ন ডলার ঘাটতি রয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার জন্য প্রয়োজন প্রতি বছর প্রায় ৯৮ বিলিয়ন ডলার, আর বৈশ্বিক অভিযোজন তহবিলের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে প্রতি বছর ৩৬৬ বিলিয়ন ডলার।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, আর্থিক কাঠামোতে গ্র্যান্ট-ভিত্তিক তহবিল এবং স্বল্প সুদে ঋণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ওপর আর্থিক বোঝা না পড়ে। উচ্চ সুদের ঋণ এড়িয়ে অভিযোজনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী এবং টেকসই বিনিয়োগে এই তহবিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আরএএস/জেডএইচ/

Read Entire Article