তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই, নদীপাড়ে আতঙ্ক

3 days ago 5

উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ফের বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই তিস্তার পানি। এতে করে নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২.১৫ মিটার), যা বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

এর আগে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে করে ১৫ ঘণ্টা ব্যবধানে ২০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

জানা গেছে, সকাল থেকে উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি এই বাড়ছে এই কমছে, ফলে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে চলাচলের রাস্তাঘাটসহ মানুষজন পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে। 

এদিকে তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নঞ্চলের বিভিন্ন ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষজন বন্যা ও নদীভাঙন আতঙ্কে পড়েছেন। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৮-১০টি চর, পাটগ্রাম উপজেলা দহগ্রাম, আদিতমারী উপজেলা চর গোবর্ধন, মহিষখোঁচা এবং সদর উপজেলা খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের চর এবং নিম্নাঞ্চলের এলাকাগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টের পানির লেভেল পরিমাপক নুরুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিস্তার নিম্নাঞ্চলের মানুষকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে। 

Read Entire Article