স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে একজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগের কূলকিনারা করা যাচ্ছিল না। ওই চিকিৎসক পেশাগত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সুকৌশলে স্ত্রী হত্যার পর প্রমাণও সরিয়ে ফেলেন। তবে চতুর পুলিশ কর্মকর্তাদের খুঁজে পাওয়া একটি ‘বার্তা’ সব রহস্য খোলাসা করে দেয়।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বেঙ্গালুরুতে। সেখানকার ডাক্তার স্ত্রী কৃত্তিকা রেড্ডিকে হত্যার অভিযোগে সার্জন মহেন্দ্র রেড্ডি গ্রেপ্তার হয়েছেন। পুলিশ জানায়, স্ত্রীর মৃত্যু নিশ্চিতের পর ঘাতক প্রেমিকাকে একটি বার্তা পাঠান। তাতে লেখা ছিল, ‘তোমার জন্য আমি আমার স্ত্রীকে হত্যা করেছি।’
কৃত্তিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে জামাতাকে ১৫ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের বরাত দিয়ে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশের নজর এড়াতে ওই চিকিৎসক একটি ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে বার্তাটি পাঠান।
৩২ বছর বয়সী জেনারেল সার্জন মহেন্দ্র হত্যার ছয় মাস পর গ্রেপ্তার হন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, দুজনই ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে কাজ করতেন। এই দম্পতি ২০২৪ সালের ২৬ মে বিয়ে করেছিলেন। প্রথম মাস সুখে থাকলেও ক্রমশ সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে।
মহেন্দ্র জানতেন, স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস্ট্রিক এবং বিপাকীয় ব্যাধিতে ভুগছেন। এ ছাড়া তার চিকিৎসাগত দুর্বলতাগুলো জানতেন। সে সুযোগে পেশাদার জ্ঞান ব্যবহার করে হত্যা সংঘটিত করেন। ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রীকে অ্যানেস্থেসিয়ার মারাত্মক ডোজ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়।
 
ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি রিপোর্টে, ভুক্তভোগীর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে প্রোপোফল, একটি শক্তিশালী চেতনানাশক ওষুধের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। পুলিশ একটি ক্যানুলা সেট, একটি ইনজেকশন টিউব এবং অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ উদ্ধার করেছে। 
পুলিশ জানায়, হত্যার মোটিভ ও প্রমাণ উদঘাটনে তারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। অপরাধীর সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিতে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

                        5 hours ago
                        4
                    








                        English (US)  ·