আমাদের দেশসহ এশিয়ান দেশগুলোতে পেয়ারা একটি খুব সাধারণ ও সহজলভ্য ফল হলেও পশ্চিমা দেশগুলোতেও এটি পাওয়া যায়। মোটামুটি সব ধরনের মৌসুমে ফল ও সবজিই স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য উপকারী। তবে এই মৌসুমের পেয়ারা খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। পেয়ারা শুধু পুষ্টিতে ভরপুরই না, পেয়ারার ফেসপ্যাক মাখলেই ত্বকের জেল্লা বাড়ে। এই ফল ত্বকের সমস্যা কমাতে দুর্দান্ত কার্যকর।
ফলটির রয়েছে অবিশ্বাস্য সব উপকারিতা। জেনে অবাক হবেন- ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ১৮০ মি. গ্রাম ভিটামিট সি থাকে; যা কমলার তুলনায় পাঁচগুণ বেশি। আসুন জেনে নেওয়া যাক মজার এই ফলের নানা গুণ-
অ্যান্টি-এজিং উপাদান : পেয়ারার মধ্যে লাইকোপেন ও ভিটামিন সি-এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ফ্রি র্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে এবং ত্বকের কোষকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। এর জেরে ত্বক তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যায় না। ত্বকের ওপর চট করে বলিরেখা, দাগছোপ দেখা যায় না। পেয়ারা ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে এবং ত্বকের যৌবন ধরে রাখে।
ব্রণ প্রতিরোধ করে : পেয়ারার মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। এই ফল খেলে ত্বকের প্রদাহ, ফোলাভাব, ব্যথা, জ্বালাভাব কমবে। ব্রণের সমস্যা সহজেই কমাতে পারবেন পেয়ারা খেয়ে। পেয়ারা ত্বকে অত্যধিক পরিমাণে সেবাম উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর জেরে ব্রেকআউটের সমস্যা কমে যায়।
ত্বককে হাইড্রেট করে : পেয়ারা খেলে ত্বক হাইড্রেট থাকে। শুষ্কতার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে পেয়ারা। শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। এই কারণে আরও বেশি করে পেয়ারা খাওয়া উচিত।
সূর্যালোক থেকে বাঁচায় : সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। দাগছোপ, বলিরেখা, এমনকি স্কিন ক্যান্সারের পিছনে রোদ দায়ী হতে পারে। পেয়ারার মধ্যে ফটোপ্রোটেক্টিভ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে, যা সান এক্সপোজারের হাত থেকে ত্বককে বাঁচায়।
ত্বক নিরাময়ের ক্ষমতা : ত্বকের ছোটখাটো ক্ষত দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে পেয়ারা। এই ফল খেলে ত্বকের প্রদাহ ও জ্বালাভাব কমে। ত্বক দ্রুত ‘হিল’ হয়। পাশাপাশি পেয়ারা ত্বকের টেক্সচারকে উন্নত করে। ত্বককে নরম করে তোলে এবং চামড়া টানটান থাকে। ত্বকের যত্ন নিতে রোজ একটা করে পেয়ারা খান।