বরগুনায় থানা থেকে আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টা ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ইসরাত জাহান শিরিন নামে এক মহিলা দল নেত্রী ও তার মেয়েকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৮ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সদর থানায় এ আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বরগুনা থানার এসআই সাইতুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বরগুনা সদর থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী এবং বরগুনা পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চরকলোনী এলাকার জনৈক বেলায়েত হোসেন মন্টুর স্ত্রী ইসরাত জাহান শিরিন ও তার মেয়ে সদর উপজেলার ৮ নম্বর ইউনিয়নের ঢলুয়া এলাকার সোহান মোল্লার স্ত্রী সারজিনা মিম।
বরগুনা থানা সূত্রে জানা গেছে, মামলার ১নম্বর আসামি ইসরাত জাহান শিরিনের মেয়ের জামাতা মামলার ২ নম্বর আসামির স্বামী সোহান মোল্লা গ্রামীণ ফোন কাস্টমার কেয়ার বরগুনায় চাকরি করেন। সোহান মোল্লা ও তার সহযোগী মারুফ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে সীম অফার বান্ডিলের প্রতারণা করে কাস্টমার কেয়ারের মালিককে ১৩ লাখ টাকার বকেয়া করে গ্রামীণ ফোনের কাছে।
আরও জানা যায়, গ্রামীণ ফোন প্রধান কার্যালয় থেকে বকেয়া টাকা ফেরত চাইলে সোহান মোল্লার প্রতারণা মালিকের কাছে ধরা পরে। মালিক এ নিয়ে সোহান ও তার সহযোগী মারুফ চৌধুরীর নামে বরগুনা থানায় একটি প্রতারণা মামলা করেন। পুলিশ মামলা নিয়ে প্রাথমিক তদন্তে সোহান মোল্লা জড়িত থাকায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে বরগুনা শহরের মিজান টাওয়ার থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সোহান মোল্লার শাশুড়ি শিরিন দ্রুত থানায় ছুটে গিয়ে নিজেকে পাথরঘাটা উপজেলা মহিলা দল সভানেত্রী পরিচয় দিয়ে জামাতা সোহান মোল্লাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাসহ পুলিশের কাজে বাধা সৃষ্টি করেন। এছাড়াও থানার বারান্দায় বসে ডাক চিৎকার দিয়ে লোকজন জড়ো করার চেষ্টা করেন। পরে নারী পুলিশ সদস্যের মাধ্যমে শালীনতার বজায় রেখে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে বরগুনা থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, বরগুনা থানার একটি নিয়মিত মামলার আসামি থানায় নিয়ে আসার এক মিনিটের মধ্যেই মহিলা দল নেত্রী পুলিশের কাছ থেকে জামাইকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় পুলিশের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করে। পুলিশ এই ঘটনায় ওই নেত্রী ও তার মেয়েকে আটক করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের কারণে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া প্রতারণার মামলার আসামি ও তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।