দরবারে হামলায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: অতিরিক্ত ডিআইজি

1 day ago 5

 

ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, তদন্ত সাপেক্ষে যার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণ বেরিয়ে আসবে এবং অপরাধ খুঁজে পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে যদি প্রশাসনে থাকে তার বিরুদ্ধেও হবে, আবার প্রশাসনের বাইরে থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ইমাম মেহেদী দাবি করা বিতর্কিত নুরাল পাগলের বাড়ি ও মাজার পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিআইজি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বর্তমানে আমাদের আইনি এবং গ্রেফতার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। একটি মামলা হয়েছে এবং আরও কিছু মামলা হবে। মামলার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সবাইকে একটি বিষয় নিশ্চিত করতে চাই, এখানে গণগ্রেফতার করা হচ্ছে না। সঠিক তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। আপনারা লক্ষ্য করবেন, আমাদের গ্রেফতারের সংখ্যা কিন্তু বেশি নয়। জনগণ ধারণা করছে নিরপরাধ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, আসলে সেটা নয়। একটি সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হতে পারে। কিন্তু সেই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ যখন অশান্ত হয়ে যায়, তখন সবাই জড়িত থাকে না। যারা অশান্তির কারণ, যারা আইনশৃঙ্খলা ভেঙেছে আমরা তাদেরকেই গ্রেফতার করবো।

এসময় রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ৫ সেপ্টেম্বর পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর মামলায় আরও ৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এনিয়ে এখন পর্যন্ত ওই মামলায় মোট ১১ জন গ্রেফতার হয়েছেন।

সোমবার সকালে গোয়ালন্দ ঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশিদুল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- গোয়ালন্দের মাল্লাপট্টি শাকের ফকিরপাড়ার হেলাল উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম শুভ (১৭), নতুনপাড়া মাল্লাপট্টির শওকত সরদারের ছেলে জীবন সরদার (২২), আদর্শ গ্রামের ছালামের ছেলে বিল্লু ও ফরিদপুর কোটোয়ালির ডিগ্রিচর বারখাদার নিজাম উদ্দিন সরদারের ছেলে মোহাম্মদ ফেরদৌস সরদার (৩৬)।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর তৌহিদী জনতা নুরাল পাগলের দরবার শরীফে হামলা চালায়। সেসময় পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে পুলিশ সদস্যসহ প্রায় অর্ধশত মানুষ আহত হয় এবং একজন নিহত হয়।

পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই সেলিম বাদী হয়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার মানুষকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় রোববার রাতে ৪ আসামিকে গ্রেফতারসহ এখন পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

রুবেলুর রহমান/এফএ/জিকেএস

Read Entire Article