দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার আসাদুজ্জামান নূর, নতুন ইঙ্গিত পলকের

4 hours ago 3

দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেকমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে। এদিকে দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দিয়ে প্রিজনভ্যানে করে কারাগারে যাওয়ার সময় ‘ভি’ চিহ্ন দিয়ে নতুন ইঙ্গিত দিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) তাদের ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর দুদকের মামলায় আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক ফেরদৌস রহমান। শুনানি শেষে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন। 

এরপর আসাদুজ্জামান নূরের পক্ষে তার আইনজীবী কাওছার আহমেদ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আদালত এবিষয়ে শুনানির জ্য আগামী ১২ অক্টোবর পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন বলে জানান প্রসিকিউশন বিভাগের উপসহকারী পরিচালক ফয়েজ উদ্দিন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের গ্রেপ্তারের অভিযানের মধ্যে সাবেক সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে ২০২৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়কার হত্যাকাণ্ডের মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি গত ৩০ জুলাই পাঁচ কোটি ৩৭ লাখ টাকার ‘অবৈধ সম্পদ অর্জন’ এবং ১৫৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকার বেশি ‘মানি লন্ডারিংয়ের’ অভিযোগে নূরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

এদিকে আজ পলক এবং তার স্ত্রী আরিফা জেসমিনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন দুদক প্রতিবেদক দাখিল করতে পারেনি। এজন্য একই আদালত আগামী ২৭ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন। এরপর পৌনে দুইটার দিকে কারাগারে নিতে পলককে প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। এ সময় পিছমোড়া দিয়ে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল। এসময় আইনজীবীর সাথে কথা বলেন পলক। পাশে একজন পলককে বলেন, ‘ভাই, আমার বাড়ি নাটোর।’ পলক তাকে সালাম দিয়ে বলেন, ‘ভাল থাকবেন।’ প্রিজনভ্যানে তোলার পর তার হাতকড়া, হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট খুলে ফেলা হয়। তখন প্রিজনভ্যানের রড ধরে দাঁড়িয়ে থাকা পলক ‘ভি’ চিহ্ন দেখান। এরপর প্রিজনভ্যানটি আদালতপ্রাঙ্গণ ছেড়ে যায়।

গত বছরের ১২ ডিসেম্বর জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং তার স্ত্রী আরিফা জেসমিনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। 

মামলার তথ্য অনুযায়ী, জুনায়য়েদ আহমেদ পলকের ২৪টি ব্যাংক হিসাবে ঘুষ, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে ৩২ কোটি ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩১৪ টাকা জমা হয়। এর মধ্যে ২৯ কোটি ৮৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৫ টাকা তুলে নেওয়া হয়। ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই টাকা লেনদেন হয়েছে। 

গত বছরের ১৫ আগস্ট পলককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন সময় হত্যা, হত্যাচেষ্টা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি তাকে দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

Read Entire Article