দেশে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করে ৭৬ শতাংশ মানুষ: বিসিক

3 hours ago 8

কোনো দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করলে সে দেশ আন্তর্জাতিকভাবে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহারে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে স্বীকৃতি পায়। বর্তমানে বাংলাদেশে এ হার ৭৬ শতাংশ। আরও ১৪ শতাংশ মানুষকে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহারের আওতায় আনতে পারলেই দেশটি এ স্বীকৃতি অর্জন করবে।

বিশ্ব আয়োডিন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ে বিসিক ভবনে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) উদ্যোগে আয়োডিন দিবস উদযাপন ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এ তথ্য জানানো হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিসিক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. নাজমুল হোসেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গেইন বাংলাদেশের লার্জ স্কেল ফুড ফর্টিফিকেশন পোর্টফোলিও লিড ড. আশেক মাহফুজ। সেমিনারে আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন বিসিকের পরিচালক (শিল্প উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ) মুহ. খায়রুজ্জামান, লবণ সেল প্রধান সরোয়ার হোসেন, টেকনো সার্ভ বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মো. গুলজার আহম্মেদ এবং বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল কবির।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে আশেক মাহফুজ বলেন, প্রথম দেশ হিসেবে কানাডা লবণ ফর্টিফিকেশন শুরু করে, আর বাংলাদেশ অনেক পরে লবণে আয়োডিন যুক্ত করে। দেশে লবণে পটাশিয়াম আয়োডেট ব্যবহার করা হয়, যা টেকসই এবং খোলা বা চুলার পাশে রাখলেও সহজে নষ্ট হয় না।

তিনি বলেন, আয়োডিন শরীরে স্টোর হয় না। প্রতিদিনেরটা প্রতিদিন শেষ হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন আয়োডিন প্রয়োজন। প্রধান সমস্যা হিসেবে গলগণ্ড রোগের কথা বলা হলেও আয়োডিন সঠিকভাবে না পেলে বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নতি হবে না।

প্রধান অতিথি মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, আয়োডিন একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান, যা মানুষের স্বাভাবিক, মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য। দেশে অনুপুষ্টিজনিত সমস্যার মধ্যে আয়োডিন ঘাটতি অন্যতম। তিনি বলেন, আয়োডিনের অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধিই সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

সেমিনারের আগে অতিথিরা বিসিক ভবনে লবণ সেল উদ্বোধন করেন। এ সময় সাংবাদিক ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা সেলটি পরিদর্শন করেন।

এনএইচ/এমএএইচ/

Read Entire Article