বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেছেন, দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে মেরিনাররা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছেন। সামুদ্রিক খাত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মেরুদণ্ড, যা বিশ্বের ৮০ শতাংশেরও বেশি পণ্য পরিবহন করে। আমাদের দেশের মেরিনাররা সেই বাণিজ্যের অন্যতম চালিকাশক্তি।
তিনি বলেন, বর্তমানে শিপিং, জাহাজ নির্মাণ, শিপ রিসাইকেলিং ইয়ার্ড এবং আন্তর্জাতিক জাহাজে আমাদের নাবিকদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের সামুদ্রিক বাণিজ্য খাত বছরে প্রায় ১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ‘ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ডে ২০২৫’ উপলক্ষে চট্টগ্রামে নগরীর বারিক বিল্ডিং এলাকায় আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
‘আমাদের সমুদ্র, আমাদের দায়িত্ব, আমাদের সুযোগ’ প্রতিপাদ্যটিকে সামনে রেখে এই আয়োজন করে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ)।
মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, নাবিকদের ভিসা সমস্যা সমাধান, জাহাজ কেনার জন্য অর্থায়ন, কর ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং জাহাজ নির্মাণের জন্য আন্তর্জাতিক মানের নীতি প্রবর্তনের মাধ্যমে আমরা এই আয় বছরে ৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে পারি।
সিনিয়র মেরিনার ক্যাপ্টেন মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এ ধরনের আয়োজন কেবল সচেতনতা বৃদ্ধিই করে না, বরং আমাদের মেরিটাইম কমিউনিটির মধ্যে ঐক্য ও সংহতি আরো জোরদার করে। দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সমুদ্রপথের গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা আশা করি সরকার এই খাতের উন্নয়নে আরো বেশি গুরুত্ব দিবে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সংস্থা (আইএমও) কনভেনশন কার্যকর হওয়ার বিংশতম বার্ষিকী উপলক্ষে ১৯৭৮ সালে প্রথম বিশ্ব নৌ-দিবস পালিত হয়। এরপর হতে প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ বৃহস্পতিবার দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
শোভাযাত্রায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মেরিনার, শিপিং কোম্পানির প্রতিনিধি এবং মেরিটাইম শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।