অগ্নিকাণ্ডে শুধু ঘর-বাড়িই পুড়ে ভস্মীভূত হয়নি; অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন রাশিদা বেগম ও প্রতিবন্ধী একটি সন্তানও। প্রতিবেশী ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতায় ঘরের আগুন নেভানো সম্ভব হলেও সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যান বয়োবৃদ্ধা রাশিদা বেগম।
এমন পরিস্থিতিতে অসহায় পরিবারটির সুষ্ঠু চিকিৎসা সেবা, নতুন করে গৃহনির্মাণ ও জীবিকা নির্বাহের যাবতীয় দায়িত্ব ভার কাঁধে তুলে নিয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল।
খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা কালিবাড়ীর কার্তিককুলে বুধবার (৮ মে) রাত আড়াইটার দিকে বৃদ্ধা রাশিদা বেগমের ও তার প্রতিবন্ধী দুই ছেলে বাদল (৫০) ও মান্নান (৪৫) এর আশ্রয়স্থল আগুন লেগে পুড়ে যায়। পুড়ে যায় ঘর-বাড়ি আসবাবপত্র। প্রতিবন্ধী এক সন্তানকে নিরাপদে বের করতে পারলেও আরেকজনের মুখ মন্ডল ও শ্বাসনালি দগ্ধ হয়।
অসহায় পরিবারটি ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা না পেয়ে সারারাত খোলা আকাশের নিচে কাটিয়েছিলেন। এমন তথ্য পেয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল তাৎক্ষণিকভাবেই তার প্রতিনিধি পাঠিয়ে নিজ অর্থায়নে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন। রোগী দুজন এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবেন আগামী ৪৮ ঘণ্টা। এ ছাড়া ওই অসহায় পরিবারের ঘর নির্মাণ করে দেবেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রকিবুল ইসলাম বকুল।
তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারটিতে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, দৌলতপুর থানা বিএনপির সভাপতি মুর্শিদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মিতুল মোড়ল, নারী নেত্রী সালমা বেগম ও মদিনা হাওলাদার প্রমুখ।

5 months ago
101









English (US) ·