ধর্মঘটে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রাখলেও অনলাইনে ব্যবসা চলছে নেতাদের

ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) সংস্কার ও সিন্ডিকেট প্রথা বাতিলের দাবিতে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ‘বাংলাদেশ মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি’। কিন্তু মাঠপর্যায়ের সাধারণ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যখন নেতাদের ডাকে সাড়া দিয়ে দোকানপাট বন্ধ রেখেছে, তখন আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া প্রভাবশালী ব্যবসায়ী নেতারাই ভিন্ন কৌশলে নিজেদের ব্যবসা সচল রেখেছে। সুমাস টেক, আপেল গ্যাজেট, ড্যাজেল, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার এবং এসএমএস গ্যাজেট-এর মতো শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো দোকান বন্ধ রেখে ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেদারসে পণ্য বিক্রি করে যাচ্ছে। সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রেখেছে। কিন্তু অনলাইনে ভিন্ন চিত্র। আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পুরোদমে বেচাকেনা চলছে। নেতাদের এমন দ্বিমুখী আচরণে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। মোতালেব প্লাজার এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, “নেতারা আমাদের বললেন অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন, তাই দোকান বন্ধ রাখতে হবে। আমরা ছোট ব্য

ধর্মঘটে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রাখলেও অনলাইনে ব্যবসা চলছে নেতাদের

ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) সংস্কার ও সিন্ডিকেট প্রথা বাতিলের দাবিতে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ‘বাংলাদেশ মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি’।

কিন্তু মাঠপর্যায়ের সাধারণ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যখন নেতাদের ডাকে সাড়া দিয়ে দোকানপাট বন্ধ রেখেছে, তখন আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া প্রভাবশালী ব্যবসায়ী নেতারাই ভিন্ন কৌশলে নিজেদের ব্যবসা সচল রেখেছে। সুমাস টেক, আপেল গ্যাজেট, ড্যাজেল, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার এবং এসএমএস গ্যাজেট-এর মতো শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো দোকান বন্ধ রেখে ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেদারসে পণ্য বিক্রি করে যাচ্ছে।

সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রেখেছে। কিন্তু অনলাইনে ভিন্ন চিত্র। আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পুরোদমে বেচাকেনা চলছে।

নেতাদের এমন দ্বিমুখী আচরণে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। মোতালেব প্লাজার এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, “নেতারা আমাদের বললেন অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন, তাই দোকান বন্ধ রাখতে হবে। আমরা ছোট ব্যবসায়ীরা দিন আনি দিন খাই, দোকান বন্ধ থাকলে আমাদের সংসার চলে না। অথচ নেতারা ঠিকই অনলাইনে কোটি টাকার ব্যবসা করছেন। এটা আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা।”

আরেক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, “যাদের অনলাইন সেটআপ বা ই-কমার্স ওয়েবসাইট নেই, তারা আজ পথে বসেছে। আর নেতারা আন্দোলনের ফয়দা নিয়ে অনলাইন ট্রাফিক বাড়িয়ে নিজেদের পকেট ভারী করছেন।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি একটি সুপরিকল্পিত কৌশল। সাধারণ দোকান বন্ধ থাকলে ক্রেতারা বাধ্য হয়ে অনলাইনে ঝুঁকবেন। এতে নেতাদের অনলাইন প্ল্যাটফর্মের বিক্রি কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। রাজপথে সাধারণ ব্যবসায়ীদের নামিয়ে বিটিআরসি ঘেরাও করে সরকারকে চাপে রাখা। শোরুম বন্ধ রেখে তারা দেখাচ্ছেন যে তারা আন্দোলনের সঙ্গে আছেন, কিন্তু তলে তলে ব্যবসা ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছেন।

সাধারণ ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন যারা নিজেরা অনলাইনে ব্যবসা চালু রেখে অন্যদের দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য করছেন, তাদের নেতৃত্বে এই আন্দোলন কতটা সফল হবে?

নেতাদের এই দ্বিমুখী আচরণের কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে ফাটল ধরার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অনেকে বলছেন, নেতাদের স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত না হয়ে দ্রুত দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow