কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় নকল ওষুধ ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগের ভিত্তিতে এবার রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর কড়া পদক্ষেপ গ্ৰহণ করেছে। ওষুধ হোলসেলার এবং খুচরা বিক্রেতাদের জন্যে জারি করা হয়েছে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি।
স্বাস্থ্য দপ্তরের ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ওষুধ তৈরি থেকে দোকানে পৌঁছানো পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে যথাযথভাবে নিয়ম মেনে চলা হচ্ছে কি না তা নজর রাখতে হবে পাইকারি এবং খুচরো বিক্রেতাদের।
পাইকারি বিক্রেতাদের প্রতি স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ, যাদের কাছ থেকে ওষুধ কিনছেন তাদের লাইসেন্স খতিয়ে দেখুন। তাদের লাইসেন্স কতদিন পর্যন্ত বৈধতা রয়েছে তা অবশ্যই পরীক্ষা করতে হবে পাইকারি বিক্রেতাদের। রাজ্যের বাইরে যে সংস্থার থেকে ওষুধ কিনবেন পাইকারি বিক্রেতারা, অবশ্যই সেগুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস দেখতে হবে। প্রস্তুতকারী সংস্থার জিএসটি নম্বর আছে কি না সেটি দেখেও নিতে হবে।
আরও পড়ুন>>
- পশ্চিমবঙ্গে ভাঙলো আত্রাই নদীর বাঁধ, প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে
- কলকাতার আকাশে ‘অচেনা’ ড্রোন ঘিরে চাঞ্চল্য
- সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বললেন মমতা
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ৩০০টি ওষুধের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাই সংশ্লিষ্ট ওষুধগুলো কেনার আগে বাধ্যতামূলকভাবে কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দপ্তরের মতে, নয়া বিজ্ঞপ্তির বিধি-নিষদের ফলে রাজ্যে নকল ওষুধ বিক্রি ও ব্যবহারের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হবে। এছাড়া গুণমান পরীক্ষায় ব্যর্থ এমন ওষুধ কোনোভাবেই কেনাবেচা না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
রাজ্যের জাল ওষুধ ঠেকাতে সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। বিশেষ করে, রাজ্যের বাইরে থেকে আসা ওষুধের ওপর।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ৯৩টি ওষুধকে ‘নট ফর স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি ড্রাগস’ বলে জানিয়েছিলে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড। একসময় ৫১টি ত্তষুধের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। মার্চ মাসে আরও ১৩৪টি ওষুধের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের পরীক্ষায় এসব ওষুধ গুণমানের পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল তৈরি হয়। এবার এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করলো স্বাস্থ্য দপ্তর।
ডিডি/কেএএ/