এএসিসিএ বাংলাদেশ সম্প্রতি একটি জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২৮ নতুন সদস্য এবং ৪৪ নতুন এফসিসিএ (এএসিসিএ ফ্যালো) সদস্যকে স্বাগত জানিয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনের ট্রেড ও ইনভেস্টমেন্ট বিভাগের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান পাশা। পাশাপাশি করপোরেট সেক্টর, একাডেমিয়া, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে অনলাইনে বক্তব্য দেন এএসিসিএ গ্লোবাল প্রেসিডেন্ট মিস আয়লা মাজিদ। তিনি নতুন সদস্যদের পেশাগত অর্জনকে স্বীকৃতি প্রদান করেন এবং অ্যাকাউন্টেন্সি পেশার উন্নয়নে তাদের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন। প্রধান অতিথি ড্যান পাশা এএসিসিএর বৈশ্বিক প্রতিভা গড়ে তোলার ভূমিকা এবং বাংলাদেশের কর্মসংস্থান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অবদানের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এর পেশাজীবীদের দক্ষতা এবং যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের দৃঢ় সম্পর্কের উপর। বিশেষ অতিথি ড. ইমরান রহমান, ভিসি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব), এএসিসিএর আধুনিক কারিকুলাম এবং শৃঙ্খলার প্রশংসা করেন। তিনি নতুন সদস্যদের যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মাধ্যমে দেশের করর্পোরেট খাতের উন্নয়নে অবদান রাখার আহ্বান জানান।
এএসিসিএ বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মিসেস প্রমা তাপসি খান, এফসিসিএ, এএসিসিএ-এর বাজার সম্প্রসারণ ও পেশাজীবীদের চাহিদা বৃদ্ধিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। এএসিসিএ মেম্বার অ্যাডভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান কাজী এম হাসান এএসিসিএর বাংলাদেশে এক দশকের যাত্রা এবং অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ভূমিকা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে ৩০০-এরও বেশি এএসিসিএ সদস্য, করপোরেট নেতা এবং শিল্প খাতের অংশীদাররা উপস্থিত ছিলেন, যা পেশাগত উৎকর্ষতা এবং টেকসই নেতৃত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এএসিসিএর বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডার অংশ হিসেবে অনুষ্ঠানে সাসটেইনেবল ক্লাইমেট ট্রানজিশনের জন্য ফাইন্যান্স ফাংশনে নেতৃত্ব শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এএসিসিএ গ্লোবালের হেড অব সাসটেইনেবিলিটি মিস এমেলিন স্কেলটন শীর্ষক প্রতিবেদনের আলোকে মূল বক্তব্য প্রদান করেন।
প্যানেল আলোচনা পরিচালনা করেন কাজী এম. হাসান। আলোচনায় অংশ নেন ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ, চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত), ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) বাংলাদেশ; চৌধুরী লিয়াকত আলী- ডাইরেক্টর এসএফডি বাংলাদেশ ব্যাংক, শামস জামান, কান্ট্রি ম্যানেজিং পার্টনার, পিডব্লিউসি বাংলাদেশ; শাহরিয়ার খান, নির্বাহী সম্পাদক, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এবং মীর সাজেদ-উল-বাসার এফসিএ, প্রিন্সিপাল ও সিইও, সাজেদ মীর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস।
প্যানেল আলোচকরা বলেন, অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নে স্বচ্ছতা, সুশাসন এবং কৌশলগত নেতৃত্ব অপরিহার্য। এই নীতিগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য প্রাসঙ্গিক। তারা আরও উল্লেখ করেন, সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই টেকসই উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য আর্থিক নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।