নদী থেকে বিএনপি নেতার বালু ‘উত্তোলন’, হামলায় আহত ৬

2 hours ago 3

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় লালমনিরহাটে ইউপি সদস্যের হামলায় যুবদল-ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মী ও এক সাংবাদিক আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবু তালেব আবু ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য।

এ ঘটনায় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে চ্যানেল-২৪ এর সাংবাদিক মাহফুজুল ইসলাম বকুল আদিতমারী থানায় স্থানীয় মহিষখোচা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবু তালেব আবুসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অন্য আহতরা হলেন, মহিষখোচা ইউনিয়ন যুবলের সহসভাপতি সুমন মিয়া (৩৫), সিনিয়র সহসভাপতি নুরুন নবী জুয়েল (৩৭), মহিষখোচা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিন (২৬) ও যুবদল সদস্য নুর আলম (৩২)।

জানা গেছে, মহিষখোচা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ওয়াহেদুজ্জামান আবিরসহ যুবদলের বেশ কয়েকজন নেতা তিস্তা নদী থেকে মধ্যরাতে বালু উত্তোলন করে বিক্রির খবর পেয়ে চন্ডিমারী গ্রামে যান। এ খবর জানতে পেরে সাংবাদিক মাহফুজুল ইসলাম বকুলও সেখানে যান। তিনি রাতে তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ট্রাকযোগে সরিয়ে নেওয়ার ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় ইউপি সদস্য আবু তালেব আবু ও তার লোকজন তাকে গালিগালাজ করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় এবং মারধর করেন। এ সময় হামলাকারীরা তার মোটরসাইকেলসহ চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এবং ওই সাংবাদিকের ক্যামেরা, বুমসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়।

সাংবাদিক মাহফুজুল ইসলাম বকুল বলেন, মহিষখোচা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দুলাল মিয়ার প্রত্যক্ষ মদদে তিস্তা নদী থেকে প্রতিদিন রাতে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন ইউপি সদস্য আবু তালেব ও তার লোকজন। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রশাসনও অভিযান চালাচ্ছে না। এ সময় ভিডিও ধারণের সময় তারা হামলা চালিয়ে ক্যামেরা, মোটরসাইকেল ও ব্যাগে থাকা অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে যায়। থানায় অভিযোগ দিয়েছি।

মহিষখোচা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দিতে গিয়ে দলের নেতাকর্মীসহ সাংবাদিকের ওপর যাদের প্রত্যক্ষ মদদে হামলা হয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবু তালেব আবু বলেন, মহিষখোচা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির নির্দেশে আমি বালু তুলছি। তবে আমি কাউকে হামলা করিনি। লেবারদের সঙ্গে কী হয়েছে জানি না।

মহিষখোচা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ও মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, আমাদের দলের সভাপতি দুলালসহ দলের কতিপয় নেতারা এই বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত। আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করেছি।

তবে মহিষখোচা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দুলাল মিয়া তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আকবর বলেন, সাংবাদিকের ওপর এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Read Entire Article