নারায়ণগঞ্জে যুবদল কর্মী শাওনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান কনকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাসুম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে, আদালতে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কনককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ২০২২ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা যখন আনন্দ মিছিল নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম, ওই সময় তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) রাসেলের নির্দেশে পুলিশ আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পরে। নির্বিচারে গুলি করে। আজ ডিবির সাবেক এসআই কনককে পাঁচদিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। এ কনকের গুলিতে সেই দিন আমাদের শাওন মৃত্যুবরণ করে। এ শাওন হত্যার বিচার অবশ্যই হতে হবে। আমরা সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছিলাম, আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে শাওন হত্যা মামলার ১৬ নম্বর আসামি মাহফুজুর রহমান কনক ওরফে মাহফুজুল হককে ঢাকা এয়ারপোর্টের ১৩ এপিবিএন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জেলা ও মহানগর বিএনপির মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে তৎকালীন ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মাহফুজুর রহমান কনকের হাতে থাকা চাইনিজ রাইফেল থেকে ছোড়া গুলি যুবদল কর্মী শাওনের শরীরে বিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এই ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর সদর মডেল থানায় বিএনপির পাঁচ হাজার অজ্ঞাত নেতাকর্মীকে আসামি করে নিহতের ভাই মিলন মামলা করেছিলেন। সেই মামলা প্রসঙ্গে মিলন দাবি করেন, এই মামলার বিষয়ে তিনি বা তার পরিবারের কেউ কিছু জানে না। পুলিশ তাদের কাছে একটি সাদা কাগজে সই নিয়েছে।
এ ঘটনার দুই বছর পর ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর শাওনের বড় ভাই মো. মিলন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় তৎকালীন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এসআই কনকসহ সাবেক পাঁচ সংসদ সদস্যসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়।