নারী শিক্ষার্থীকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে চাকরি খোয়ালেন বেরোবি সমন্বয়ক

2 weeks ago 11

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে কিক স্কলারশিপ প্রোগ্রাম প্রকল্পে চুক্তিভিত্তিক ‘কোর্স ইন্সট্রাক্টর’ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রহমত আলীকে। ওই নারী শিক্ষার্থীকে পাঠানো মেসেজের স্ক্রিনশট ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর জার্মানিভিত্তিক সংস্থাটি তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শওকাত আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সংস্থাটি এক জরুরি বৈঠকে রহমত আলীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারীঘটিত অভিযোগের পর সংস্থাটি জরুরি বৈঠক করে তাকে বহিষ্কার করেছে। যেহেতু তার নিয়োগ ও বেতন সব ওই সংস্থার অধীন, তাই তারা নতুন ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ দেবে।

অভিযুক্ত রহমত আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করেছেন। সদ্য বিলুপ্ত হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন। কয়েক মাস আগে ‘বিআরইউআর-জিআইজেড-কেআইকে’ সহযোগিতা প্রকল্পের আওতায় অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সহায়ক প্রকল্পটিতে ইন্সট্রাক্টর হিসেবে যোগ দেন। 

এর আগে গত ১৯ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রহমত আলীর সঙ্গে এক নারী শিক্ষার্থীর মেসেঞ্জারে কথোপকথনের স্ক্রিনশট ফাঁস হয়। এ ছাড়া ঢাকার একটি কলেজের শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তিনিও রহমতের সঙ্গে কথোপকথনের স্ক্রিনশট প্রকাশ করেছেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, রহমত আলী কোর্স ইন্সট্রাক্টর হলেও নিয়মিত ক্লাস নিতেন না। রাজনীতি ও নানা কর্মসূচিতেই তার বেশি সময় যেত। তার কোর্সের শিক্ষার্থী মো. রাসেল বলেন, তিনি নিয়মিত ক্লাস নিতেন না। যখন মন চাইত, তখন আসতেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে রহমত আলীকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তা রিসিভ হয়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো ফেরদৌস রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘অপকর্মের জন্য কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি যৌন নির্যাতন সেল আছে। যেটা হাইকোর্ট থেকে অনুমোদিত। সেখানে অভিযোগ এলেই আমরা তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।’

Read Entire Article