মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, আমরা জুলাই বিপ্লব ২০২৪ পরবর্তী প্রেক্ষাপটে একটি সুন্দর সমাজ তথা দেশ দেখতে চাই। একতাবদ্ধ হয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা মুক্ত দেশ গড়তে চাই।
রোববার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমির সভাকক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত ১৬ দিনব্যাপী (২৫ নভেম্বর-১০ডিসেম্বর) পর্যন্ত আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধপক্ষ-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে এক প্রস্তুতিমূলক সভায় এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা সাম্যের কথা ভাবি, ন্যায়ের কথা ভাবি কিন্তু নারী নির্যাতন, সহিংসতা কমাতে পারিনি। এখনো দেশে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ নারী সহিংসতার শিকার হচ্ছে। এ সহিংসতা দূর করতে হবে। নজরদারিত্ব ও গবেষণার জায়গায় নিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, কীভাবে একতাবদ্ধ হয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা মুক্ত দেশ গড়তে পারি, এজন্য নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির মাধ্যমে সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রস্তুতিমূলক সভায় মহিলা শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ, আইএলও, ব্রাক, সিরডাপ বাংলাদেশ, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সমন্বয়ক এবং বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ডক্টর প্রকাশ কান্তি চৌধুরীর প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বিষয়গুলো পর্যায়ক্রমে তুলে ধরেন। তিনি বিষয়বস্তু বাস্তবায়নে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন।
উপদেষ্টা বলেন, নারী নির্যাতন, সহিংসতার কারণে সংসার জীবন থেকে, বিভিন্ন অগ্রগামী কর্মক্ষেত্র থেকে তাদের অর্জন ক্রমে ক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ক্যাম্পেইন, সামাজিক যোগাযোগ, ভিডিও, পথযাত্রা, নাটক, ধর্মীয় আলোচনা, সম্প্রচার, সংস্কৃতির মাধ্যমে মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রচার-প্রচারণা বাড়াতে হবে, নারীদেরকে খাটো করে নয়, সম্মানের জায়গায় স্থান দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই- আগস্টের আন্দোলনে যে মেয়েরা আহত-নিহত হয়েছে তাদের হিস্ট্রি, কষ্ট, তাদের অর্জনের কাহিনি যাতে হারিয়ে না যায় সেজন্য এর প্রচারণাও করতে হবে। এজন্য কমিটিতে এ প্রজন্মের সমন্বয়কদের অংশগ্রহণ জরুরি।