নায়িকার মৃত্যুতে তার প্রথম নায়ক লিখলেন …

2 days ago 8

নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হওয়া অঞ্জনার প্রথম নায়ক ছিলেন মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা। এ জুটির মু্ক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা ‘দস্যু বনহুর’। নায়িকার মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বর্ষীয়ান এই অভিনেতা।

তাকে সিনেমায় আনার জন্য সোহেল রানার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ ছিলেন অঞ্জনা। অভিনেতা ও প্রযোজক সোহেল রানাকে ‘ওস্তাদ’ সম্বোধন করতেন এই অভিনেত্রী। বলেছিলেন, আমাকে বাংলা চলচ্চিত্রে নিয়ে আসার জন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ চলচ্চিত্রে আমার ওস্তাদ কিংবদন্তি চিত্রনায়ক ড্যাশিং হিরো মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা ভাইয়ের প্রতি। তিনি আমাকে বাংলা চলচ্চিত্রে প্রধান নায়িকা হিসেবে নিয়েছিলেন।

নায়িকার মৃত্যুতে এফডিসি বা চ্যানেল আইয়ের জানাজায় দেখা যায়নি সোহেল রানাকে। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘না ফেরার দেশে চলে গেল অঞ্জনা। চলচ্চিত্র জগতের একটা আলো নিভে গেল। আল্লাহ তোমাকে বেহেস্ত নসিব করুন।’

তখনকার প্রায় সব নায়কের নায়িকা অঞ্জনা
১৯৭৬ সালে প্রথম চলচ্চিত্র ‘দস্যু বনহুর’ মুক্তি পায়। এ ছবিতে তিনি সোহেল রানার নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেন। এর আগে থেকেই অঞ্জনা নাচের শিল্পী হিসেবে দেশে বিদেশে সুনাম অর্জন করেন। নৃত্যশিল্পী হিসেবে তার পরিচিতির কারণেই সহজে তিনি ডাক পান সিনেমায়।

প্রথম সিনেমায় তার নায়ক ছিলেন সোহেল রানা। এরপর প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন অঞ্জনা। প্রায় ৩০টি সিনেমায় নায়িকা হয়েছেন নায়ক রাজ রাজ্জাকের। ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে করেছেন ১৭টি সিনেমা। সমসাময়িক কোন নায়কের সঙ্গে অভিনয় করেননি তিনি?

অঞ্জনা তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সোহেল রানা ও রাজ্জাক ছাড়াও অভিনয় করেছেন আলমগীর, জসিম, বুলবুল আহমেদ, জাফর ইকবাল, ওয়াসিম, উজ্জ্বল, ফারুক, ইলিয়াস জাভেদ, ইলিয়াস কাঞ্চন, সোহেল চৌধুরী, রুবেল, সুব্রত বড়ুয়া, মান্নার বিপরীতে।

ভারতের মিঠুন চক্রবর্তী, পাকিস্তানের ফয়সাল, নাদিম, জাভেদ শেখ, ইসমাইল শাহ, নেপালের শীবশ্রেষ্ঠ, ভূবন কেসির মতো অভিনয়শিল্পীদের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে দেখা গেছে তাকে, যা বাংলাদেশি কোনো অভিনেত্রী হিসেবে এক বিরল অভিজ্ঞতা।

অঞ্জনা অভিনীত উল্লেখযোগ্য কিছু সিনেমা হলো খান আতাউর রহমান পরিচালিত ‘মাটির মায়া’,  আজিজুর রহমানের ‘অশিক্ষিত’, নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘চোখের মণি’ ও ‘সুখের সংসার’, দিলীপ বিশ্বাসের ‘জিঞ্জির’, ‘অংশীদার’ ও ‘আনারকলি’, গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ‘বিচারপতি’, শফি বিক্রমপুরীর ‘আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ’, নায়করাজ রাজ্জাকের ‘অভিযান’, আলমগীর কুমকুমের ‘মহান’ ও ‘রাজার রাজা’, এফ আই মানিকের ‘বিস্ফোরণ’, আজিজুর রহমানের ‘ফুলেশ্বরী’, সত্য সাহার ‘রাম রহিম জন’, মতিউর রহমান বাদলের ‘নাগিনা’, আলমগীর কবিরের ‘পরীণিতা’।

Read Entire Article