আগামী নির্বাচনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের জন্য ঐতিহাসিক পরীক্ষা বলে জানিয়েছেন আইজিপি বাহারুল আলম। তিনি বলেন, নির্বাচন কেবল ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া নয়, এটা জনগণের বিশ্বাসেরও প্রতিফলন।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আয়োজিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পুলিশ সদস্যদের প্রতি তিনি এ কথা বলেন।
বাহারুল আলম বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল জাতীয় নির্বাচন। এটি কেবল ক্ষমতার পালাবদল নয়, এটা আমাদের গণতন্ত্রের শেকড়কে আরও মহিমান্বিত করার এক সুযোগ। আমাদের প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্য নির্বাচনের সময় মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের প্রত্যেকের কার্যক্রম জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মনিটরিং করা হবে। সুতরাং প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতির মাধ্যমে আমরা প্রত্যেকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলবো।
আরও পড়ুন
- কোনো দল নয়, জনগণের আশা পূরণে কাজ করুন: পুলিশকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- একীভূত হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ
তিনি বলেন, এটা শুধু আইনকানুন শেখানো না, এই প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে আমরা জানবো কীভাবে চাপের মধ্যেও নিরপেক্ষ থাকা যায়। কীভাবে সংঘাতের পরিবর্তে সমাধানকে অগ্রাধিকার দেওয়া যায়। কীভাবে মানুষের আস্থা অর্জন ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা যায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি আমাদের সততা, দক্ষতা ও নিরপেক্ষতার মাধ্যমে এই দায়িত্ব পালন পালন করি তবে আমরা পুলিশের ভাবমূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারবো। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রমাণের সুযোগ এসেছে, বাংলাদেশ পুলিশ একটি আধুনিক, গণতন্ত্র বান্ধব এবং কার্যকর বাহিনী।
আইজিপি বলেন, আমি প্রত্যেককে আহ্বান জানাই, প্রশিক্ষণে শেখা প্রতিটি কৌশল ও লব্ধ জ্ঞান মাঠে কাজে লাগাতে হবে। সর্বোচ্চ ধৈর্য, বিচক্ষণতা ও আত্মসংযম প্রদর্শন করতে হবে। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকারের জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা চাই, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচন হোক। এই লক্ষ্যে আমরা সবাই দক্ষতা, নিরপেক্ষতা দিয়ে আস্থা অর্জন করব।
কেআর/এমআইএইচএস/এমএস