নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১৯ নেতাকর্মীকে শাস্তি

4 hours ago 4
জুলাই আন্দোলনে জনস্বার্থবিরোধী অবস্থান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের  (চুয়েট) ১৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরা সবাই নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের চুয়েট শাখার নেতা। তাদের মধ্যে ১২ জনকে আবাসিক হল থেকে, ৪ জনকে দুই বছর এবং ৩ জনকে এক বছরের জন্য সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া ২ জনকে নোটিশের মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে। সোমবার (১৭ মার্চ) শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যসচিব ও ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত পৃথক ২১টি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত ১১ মার্চ (মঙ্গলবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শৃঙ্খলা কমিটির ২৮১তম সভার (জরুরি) সিদ্ধান্ত অনু্যায়ী এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় এবং তৎপরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ, কারণ দর্শানোর বিজ্ঞপ্তির জবাব এবং শিক্ষার্থী শৃঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি তোফাইয়া রাব্বি, মো. সাদিকুজ্জামান, ইউসুফ আবদুল্লাহ, মো. তানভীর জনি, ইফতেখার সাজিদ ও শাকিল ফরাজী; সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের, মাহমুদুল হাসান, মো. রিফাত হোসাইন, মইনুল হক এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুল করিম ও আবদুর রহমান জিহাদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে দুই বছরের জন্য এবং আবাসিক হল থেকে চিরতরে বহিষ্কৃতরা হলেন- সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজয় হোসেন, সহসভাপতি মো. ইমাম হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান। এ ছাড়াও তিন শিক্ষার্থীকে ১ বছরের জন্য সব একাডেমিক কার্যক্রম এবং চিরতরে আবাসিক বহিষ্কার করা হয়। তারা হলেন- সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৌমিক জয়, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম ও তাহসিন ইশতিয়াক। তবে এ তিনজন যদি তাদের আইনসম্মত অভিভাবকের উপস্থিতিতে ১০ এপ্রিলের মধ্যে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোনো কাজে অংশগ্রহণ করবে না মর্মে মুচলেকা দেয়, তবে তাদের ১ বছরের একাডেমিক বহিষ্কারাদেশ স্থগিত থাকবে। কিন্তু ভবিষ্যতে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোনো কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে এ বহিষ্কারাদেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে।  এসব শিক্ষার্থীর বাইরে আরও দুজনকে কেবল সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা হলেন- চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি চিন্ময় কুমার দেবনাথ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব উদ্দিন চৌধুরী। ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থবিরোধী এবং বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়। এর প্রেক্ষিতে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়। তাদের জবাব এবং অভিযোগের বিপরীতে পাওয়া তথ্য-প্রমাণের আলোকে শিক্ষার্থী শৃঙ্খলা কমিটি এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।’
Read Entire Article