মা-ইলিশ আহরণে নদী ও সাগরে ভারতীয় জেলেদের দৌরাত্ম্য বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলে ও মংস্যজীবীরা।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চরইশ্বর ইউনিয়নের কাজির বাজার ঘাটে স্থানীয় কয়েকশ জেলে ও মৎস্যজীবী এ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় তারা মা ইলিশ সংরক্ষণে সরকারি নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা পরিবর্তনেরও দাবি জানান।
বিক্ষুব্ধ জেলেদের দাবি, নদী ও সাগরে মা ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভারত ভিন্ন ভিন্ন সময়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়। যার কারণে, বাংলাদেশে যখন মা ইলিশ ধরতে নিষেধাজ্ঞা চলে তখন ভারতের জেলেরা বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে জোরপূর্বক মাছ ধরে নিয়ে যায়।
জেলেরা আরও জানান, বাংলাদেশে যে সময়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় ওই সময় ইলিশের পেটে কোনো ডিম থাকে না। ফলে সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা বিফলে যায়। নিষেধাজ্ঞার কারণে শুধু জেলেরাই নয়, এতে আড়তদার, ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় বাজারের মাছ বিক্রেতারাও ক্ষতির মুখে পড়েন।
স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী আবদুল হালিম আজাদ বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণে আগামী ৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এ খবরে উপকূলের জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশার ছায়া নেমে এসেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভরা মৌসুমেও নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরে আশানুরূপ ইলিশের দেখা মিলছে না। প্রতিবছর এ সময়ে নদী-সাগরজুড়ে ইলিশের ছড়াছড়ি থাকলেও এবার জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন হাজারো জেলে পরিবার।
স্থানীয় জেলে হরিদাস সরদার বলেন, সাগরে বা নদীতে ইলিশ থাকলেও আগের মতো আর ধরা পড়ছে না। সম্প্রতি কিছু সময় মাছ পেলেও নিষেধাজ্ঞার ফলে সবাই শঙ্কিত। গত বছর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছিল ১২ অক্টোবর থেকে, কিন্তু এ বছর তা এগিয়ে আনা হয়েছে ৩ অক্টোবর থেকে। এ তারিখ পুনর্বিবেচনার দাবি জানাই।
মানববন্ধনে ব্যবসায়ী আবদুল হালিম আজাদ, হাজী নুরুল ইসলাম, আকবর হোসেনসহ জেলে সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, মৎস্যজীবী, ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইকবাল হোসেন মজনু/কেএইচকে/এএসএম