৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (রাকসু) নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। কিন্তু এত বছর পরের এ নির্বাচনের আগের দিনও ক্যাম্পাসে নেই কোনো নির্বাচনী উচ্ছ্বাস। নীরবতায় মোড়া পুরো ক্যাম্পাস।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের তারিখ বাতিল হওয়ার পর ক্যাম্পাসে উত্তেজনা কমে গেছে। সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল নানা উদ্দীপনা, পোস্টার-ব্যানারে সাজানো হয়েছিল বিভিন্ন হল ও একাডেমিক ভবন। তবে এবার নির্বাচনের আগের দিন এসে সেই উত্তেজনা যেন নেই।
তারা বলছেন, ঢাবি, জাবির পর রাকসু হয়ে গেলে আনন্দ হত। কিন্তু নির্বাচন পেছানোর কারণে উচ্ছ্বাস কমেছে। দেশব্যাপীও খুব বেশি হাইপ নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রার্থীদের প্রচারণা শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। আজ ক্লাসও নেই, তাই অনেকে হল থেকে বের হননি। তবে গত মাস নির্বাচনের আগেরদিনও অনেক উৎসমুখর ছিল। সেই হিসেবে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা কম।’
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিন হাসান বলেন, ‘আজ ক্লাস-পরীক্ষা নেই। সেজন্য সবাই হল থেকে বের হচ্ছে না। তবে সন্ধ্যার পর শিক্ষার্থীরাদের আনাগোনা বাড়তে পারে।’
এদিকে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ছয়জন নির্বাচন কমিশনার নিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। রাকসুতে একজন প্রধান রিটার্নিং অফিসার ও ৬ জন রিটার্নিং অফিসার এ নির্বাচনের চালিকা শক্তি হিসেবে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন। মোট ২৮ হাজার ৯০১ জন ভোটার ৮৬০ জন প্রার্থীর পক্ষে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। মোট ভোটারের ৩৯.১ শতাংশ নারী এবং ৬০.৯ শতাংশ পুরুষ।
ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৯টি একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি ভোটকেন্দ্রে। কেন্দ্রীয় রাকসুর ২৩টি পদে ৩০৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, যার মধ্যে রয়েছে সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদ। সিনেটে পাঁচটি পদে ৫৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
অন্যদিকে ১৭টি হল সংসদের ২৫৫টি পদে মোট ৫৫৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জনের মধ্যে ১৭ হাজার ৫৯৫ জনই পুরুষ।
আরএএস/আরএইচ/এমএস