নেশার টাকা না পেয়ে বাবাকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার থানার শুকদেবপুর গ্রামে। নিহত ব্যক্তির নাম হরেন্দ্রনাথ বৈদ্য (৬৮)। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সুপ্রিয় বৈদ্যকে (৩২) এরই মধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুপ্রিয় বৈদ্য দীর্ঘদিন ধরেই নেশায় ডুবে থাকতেন। সেজন্যই বাবার কাছে নেশার টাকা চাইতেন তিনি। এলাকাবাসীর দাবি, শনিবারও বাবার কাছে নেশা করার জন্য টাকা চেয়েছিলেন সুপ্রিয়। কিন্তু তা দিতে রাজি হননি হরেন্দ্রনাথ।
এ নিয়েই বাবা এবং ছেলের মধ্যে তুমুল বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। এর পরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবার মাথা ও শরীরে একাধিকবার কোপ বসান সুপ্রিয়। গুরুতর জখম অবস্থায় বাড়ির উঠানেই লুটিয়ে পড়েন হরেন্দ্রনাথ।
এই ঘটনার পরেও অভিযুক্ত সুপ্রিয় বেশ কিছুক্ষণ গ্রামে ঘুরে বেড়িয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বাড়িতে যেহেতু বাবা এবং ছেলেই শুধু থাকতেন, তাই প্রথমে কেউ কিছু টের পাননি। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে হরেন্দ্রনাথের দেখা না মেলায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়।
তারা বাড়িতে গিয়ে দেখেন হরেন্দ্রনাথ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ এবং সুপ্রিয়কে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, নেশার টাকা না পেয়েই বাবাকে খুন করেছে ছেলে। ঘটনার পরেই গ্রামবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়ে। এলাকার তরুণ প্রজন্মকে নেশামুক্ত করানোর জন্য প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি করেছেন তারা।
সূত্র: এই সময়
টিটিএন