হিমালয়সংলগ্ন হওয়ায় উত্তরের হিমেল বাতাস আর কনকনে শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়ের মানুষ। বৃষ্টির মতো ঝরছে শীত আর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পুরো জেলা।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সকাল ৬টায় একই তাপমাত্রা ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা গতকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরাঞ্চলের এ জেলাটিতে বেড়েছে শীতের দাপট। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় মিলছে না সূর্যের দেখা। জেলার মানুষের জনজীবন কাবু করে দিচ্ছে শীত। সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে।
এদিকে, পঞ্চগড়ের আশপাশের জেলায় কয়েক দিন থেকে হিমালয়ের হিমেল বাতাসে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে। তবে রাতে ও সকালে ঠান্ডার কারণে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ শীতের গরম কাপড় পরিধান করছে। গত কয়েকদিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন নিম্নআয়ের মানুষ।
এ ছাড়া শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় কালবেলাকে বলেন, হিমালয়ের কাছাকাছি পঞ্চগড় জেলার অবস্থান হওয়ায় বরাবরই এখানে শীতের তীব্রতা একটু বেশি হয়ে থাকে। সোমবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ, যা গতকাল রোববার সকাল ৯ টায় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। সামনে দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।